বর্ষার এই মৌসুমেই বেড়ে যায় মশার আধিপত্য। আর মশার আধিপত্য বেড়ে যাওয়া মানেই মশার কামড়ে মশাবাহিত রোগের বিস্তার দ্রুত ঘটা। এমন পরিস্থিতিতে মশা থেকে কীভাবে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পারবেন, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে দেশে বৃষ্টি হওয়ার পরিমাণ বেশি। আর এ সুযোগেই বাড়তে শুরু করে মশার সংখ্যা। রাস্তা কিংবা ঘরের বারান্দায় জমে থাকা পানি, গাড়ির চাকায় বৃষ্টির জমে থাকা পানি, ফুলের টবে জমে থাকা স্বচ্ছ বৃষ্টির পানিতে মশা বিশেষ করে ডেঙ্গু মশা দ্রুত বংশ বিস্তার করে।
তাই অন্য ঋতুর তুলনায় বর্ষা ঋতুতে মশার সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। মশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মানেই ঘরসহ বাইরে কোনোখানেই মশা থেকে এবং মশার কামড় থেকে নিস্তার নেই।
মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করলেও দিনে আমরা অন্য উপায় গুলোর মাধ্যমে মশা তাড়ানো চেষ্টা করি। যেমন কয়েল জ্বালানো, ধূপ জ্বালানো, স্প্রে করা, ক্রিমসহ নানা উপায়ে মশা তাড়াতে উঠে পড়ে রাগি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েল-ধূপ বা তরল ওষুধ দীর্ঘ ক্ষণ জ্বালিয়ে রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে যদি ঘরে কোনও বাচ্চা থাকে। বাচ্চাদের ত্বকে রাসায়নিক দেয়া ‘রেপেলেন্ট’ ক্রিম মাখানোও ভালো নয়। তা হলে কী ভাবে বাঁচা যায় মশার উপদ্রব থেকে? রয়েছে কিছু ঘরোয়া উপায়।
সিট্রোনেলা অয়েল
ভালো সংস্থার ফিনাইলে অন্যতম একটি উপাদান হলো সিট্রোনেলা অয়েল। দিনে দুই থেকে তিন বার ঘর মোছার পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন এই প্রাকৃতিক তেল। আবার গায়ে মাখার ক্রিমেও এই তেল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে মাখা যেতে পারে। শিশুদের ত্বকের জন্যেও তা নিরাপদ।
কর্পূর
মশার জন্য কয়েল বা ধূপ সারা দিন না জ্বালাতে চাইলে ঘরের কোণে কর্পূর রাখতে পারেন। যে টেবিলে বসে সারা দিন কাজ করছেন বা খাটের পাশে রাখা টেবিলে রেখে দিতে পারেন, কিছুটা কাজ দেবে। এখন তো বিদ্যুৎ চালিত ‘বার্নার’ কিনতে পাওয়া যায়। সেখানেও কর্পূর রেখে দিতে পারেন।
ইউক্যালিপটাস অয়েল
প্রচুর মশা তাড়ানোর স্প্রে’র মূল উপাদান লেমন ইউক্যালিপটাস তেল। আমেরিকার ‘সিডিসি’ এটিকে মশার তাড়ানোর অন্যতম উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই এসেনশিয়াল অয়েল স্প্রে করা যেতে পারে। আবার গায়ে মাখার ক্রিমে কয়েক ফোঁটা এই তেল মিশিয়েও মাখতে পারেন। অনেক ক্ষণ মশা দূরে থাকবে।
দেশের তথ্য ডেস্ক।।