দেশের তথ্য ডেস্ক কক্সবাজার প্রতিনিধি :- কক্সবাজারের টেকনাফের গফুর প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে আনুমানিক ৬০০ মিটার দক্ষিণ দিকে গফুরের প্রজেক্ট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং নাজিরপাড়া বিওপি থেকে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বর্ণিত মাছের প্রজেক্টের আইল এবং বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। টহলদল পাঁচজন ব্যক্তিকে চারটি কালো পলিথিনের ব্যাগ হাতে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ণিত স্থানের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর থেকে টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের হাতে থাকা পলিথিনের ব্যাগ ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে নাফনদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া চারটি পলিথিনের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর থেকে
২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদেরকে শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে।