খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় কী?

cholesterol-20240327092648.jpg

কোলেস্টেরল বলতেই অনেকে মনে করেন খারাপ, অথচ শরীরের জন্য এটা প্রয়োজনও। যেমন: হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল।

সমস্যা শুরু হয় লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা বেড়ে গেলে। এর কারণে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হয়। এটাকে বলাই হয় ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল।

চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু ‘প্লাক’ তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

 রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সঙ্গে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল— রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

এলডিএল বশে রাখতে আরও একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।  • কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরও একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা আরও বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।
দেশের তথ্য ডেস্ক 

Share this post

PinIt
scroll to top