কানাডার টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে যথাযথ মর্যাদায় ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) এ উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শুনানো হয় এবং ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
বক্তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকাসহ সারা দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
কনসাল জেনারেল মো. ফারুক হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি এবং ২৫ মার্চ কালরাতের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যার শিকার শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার জন্য জাতির পিতা সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে ছাত্র জনতা ও নিরস্ত্র বাঙালিকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতিকে দমাতে পারেনি। সব বাঁধা পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে উন্নতি আর সমৃদ্ধির পথে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এ দেশ দ্রুত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিগগিরই বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশের তথ্য ডেস্ক