যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির পোলতাডাঙ্গা শশ্নানঘাট এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকাল ৩ টায় । নিহতরা হলেন, বড় হৈবতপুর গ্রামের লাকি বেগম(৩৫) ও তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিম (১২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড় হৈবতপুর গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর মেয়ে লাকি বেগম স্বামী পরিত্যাক্ত ছিলেন। তার একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিমিকে সাথে নিয়ে সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার বিকাল ৩ টার সময় তারা মা ও মেয়ে চুড়ামনকাটির পোলতাডাঙ্গা নামকস্থানে এসে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে কি কারণে চুড়ামনকাটিতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে মা মেয়ের আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সুন্দরবন এক্সেপ্রেস ট্রেনটি তিনটার দিকে যশোর যাওয়ার পর লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তিনি আরো বলেন,মেয়েটিকে জোর করে টেনে নিয়েই মা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন।
নিহতের ছোট বোন রোজিনা খাতুন জানান, তিনি জানতেন তার বোন সকালে ডাক্তার দেখাতে যশোর শহরে গেছেন। পরে তার বোনের মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয় তারা ট্রেনে কেটে মারা গেছেন। তবে কি কারণে তারা চুড়ামনকাটিতে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, তা তিনি জানেন না। রোজিনা খাতুন আরো জানান, তার বোনের দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো। বর্তমানে তিনি স্বামী পরিত্যাক্ত ছিলেন।
সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সেলিম হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটা ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে মা মেয়ের আত্মহত্যা । তবে কি কারণে তারা একই সাথে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনি বলা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, মরদেহের পাশ থেকে একটি জম্মদিনের কেক, একটি মোবাইল ফোন ও দুটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
দেশে তথ্য ডেস্ক