বিএনপির মিথ্যাচারের কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি

hanif-bg-20240325162023.jpg

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস মুছে দিয়েছিল। তাদের কারণে আমরা এখনো গণহত্যার স্বীকৃতি পাইনি। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়নি। এই মিথ্যাচারের কারণে আমরা এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

হানিফ বলেন, এইদিন আমাদের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তান গণহত্যা শুরু করেছিল। আজকে ২৫ মার্চ, সে পঁচিশে মার্চ যেদিন গণহত্যা শুরু হয়েছিল। এই গণহত্যার স্বীকৃতি এখনো পাইনি। নাৎসি বাহিনীর হাতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল সেটার স্বীকৃতি আছে, রুয়ান্ডার গণহত্যা, বসনিয়ার গণহত্যার স্বীকৃতি আছে; কিন্তু আমাদের ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল সেটার স্বীকৃতি নেই।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস মুছে দিয়েছিল। তারা বলে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়নি। এই মিথ্যাচারের কারণে আমরা এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, রাতের অন্ধকারে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানদের নির্দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। এই গণহত্যার স্বীকৃতি আমরা এখনো জাতিসংঘ থেকে পাইনি। যতদিন স্বীকৃতি আমরা আদায় করতে না পারব, আমাদের যে বীর সন্তানরা নির্মম হত্যার স্বীকার হয়েছে, তাদের মর্যাদা আমরা দিতে পারব না।

নাছিম বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। ত্রিশ লাখ শহীদের হত্যার স্বীকৃতি আমাদের আদায় করতে হবে। খুনি মুশতাক, জিয়ারা স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। খুনি জিয়া ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়।

পাকিস্তানিদের দোসর সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়াদের প্রতিহত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হবে যুদ্ধাপরাধী সেনাবাহিনী আর পাকিস্তান হবে যুদ্ধাপরাধী দেশ।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

দেশের তথ্য ডেস্ক 

Share this post

PinIt
scroll to top