ব্যান্ড মিউজিক করতেন। তবে সুরেলা কণ্ঠের সুবাদে একক গায়ক হিসেবেই তার অধিক খ্যাতি আসে। তার কণ্ঠে বেশ কিছু গান ছুঁয়েছে শ্রোতামন, হয়েছে কালজয়ী। ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘আবার দেখা হবে’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদ ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…আমরা তো আলাহর এবং আমরা আলাহর কাছেই ফিরে যাবো)। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রীন রোডের বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করার পরপরই সংজ্ঞা হারান খালিদ। অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাঁকে কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
খালিদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার ঘনিষ্ঠজন ও সংগীতাঙ্গনের বর্ষীয়ান শব্দ প্রকৌশলী ঈশা খান দূরে, প্রখ্যাত গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। তারপা দু’জনে বলেন, ‘খালিদ ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। আমরা এখন হাসপাতালে অবস্থান করছি, তার মরদেহ এখানেই রয়েছে। সবাই তার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।’
আরও জানা গেছে কয়েক বছর ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ। একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তাঁর হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো ছিল।
জানা গেছে সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জে, গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই শিল্পীকে সমাহিত করা হবে পারিবারিক কবরস্থানে।
আশির দশকের গোড়ার দিকে সংগীতে খালিদের অভিষেক হয়। এরপর সেই দশক এবং নব্বই দশকে বেশ সাফল্যের সঙ্গে গান করে গেছেন তিনি। তার ব্যান্ডের নাম ‘চাইম’।
দীর্ঘ মিউজিক ক্যারিয়ারে সংখ্যার দিক থেকে সমসাময়িক শিল্পীদের তুলনায় কম গান করলেও প্রায় সব গানেই তুমুল জনপ্রিয়তা পান খালিদ।
মুগ্ধকর কণ্ঠের এই শিল্পীর গাওয়া গানের মধ্যে রয়েছে ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনও কারণেই ফেরানো গেলো না তাকে’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি।
অনেক দিন ধরে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। নতুন গান প্রকাশ না করলেও গানের সঙ্গে তার সম্পর্কে ছেদ হয়নি কখনও।
গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন ‘চাইম’ ব্যান্ডে।
দেশের তথ্য / জে আর