Dhaka 2:48 pm, Saturday, 5 July 2025

আত্মসাৎ কারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রাহকদের অর্থ ফেরৎ অনিশ্চিত!

মোঃ মামুন মোল্লা 

 

গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের(রেজিষ্ট্রেশন নং ১৩৯৬২) বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহকদের নগদ ক্যাশ ২০ লক্ষ টাকা সহ বিনিয়োগের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সমিতির অর্থ সম্পাদক মোঃ ফারুক রিপনের বিরুদ্ধে এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সমিতির অফিসের জরুরী ডকুমেন্ট ও কাগজপত্রসহ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ।

ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চট্টগ্রামের বন্দর থানাধিন ২নং মাইলের মাথা এলাকায় অবস্থিত গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোঃ সমীর হোসেন নিজের চাকুরীর সর্বস্ব অর্থ এবং নিজের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করেন গোধূলী সমবায় সমিতিতে। চাকরির সুবাদে সভাপতি মোঃ সমীর হোসেন দেখভাল করতে না পারায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং অর্থ সম্পাদ মোঃ ফারুক রিপন অত্যান্ত চতুরতার সহিত গোপনে সমিতির বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকদের অর্থ বিভিন্ন সময়ে আত্মসাৎ করে। বিষয়টি সমিতির সভাপতির নজরে আসলে বুঝে ওঠার আগেই তারা সমিতির নগদ ক্যাশ ২০ লক্ষ টাকা সহ বিনিয়োগকারীর এবং গ্রাহকদের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নেয়।

গোধূলি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোঃ সমীর হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে আত্মসাৎকারীদ্বয় বহিরাগতদের নিয়ে সমীরের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টানে জোরপূর্বক তালা দিয়ে এ বিষয়ে কথা না বলেতে এবং এলাকা ছাড়ার হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সমাধান চেষ্টা করা হলেও আত্মসাত কারীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থাকায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ করাও করা হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা সমবায় অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা লিখিত দেওয়া হয়েছে।

গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহকগণ বিনিয়োগেরকৃত অর্থ ফেরৎ পেতে এবং সমিতির সাধারণ ও সম্পাদক অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় করা অভিযোগে সুত্রে জানাযায়, গোধুলী শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফারুক রিপন মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প সাথে সরাসরি সংপৃক্ত ছিল ও সাধারন সম্পাধক মোঃ রফিকুল ইসলাম দৈনিক প্রকল্প সাথে সংযুক্ত ছিল তারা উভয় সমিতির সকল প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করিয়াছে এবং সমিতির অফিস জমার অর্থ স্ব স্ব নিজ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সমিতির যাবতীয় লেনদেন করতেন। সমিতির অডিট করার লক্ষ্যে নভেম্বর-২০২২ইং তারিখ মৌখিক ভাবে আমি মোঃ সমির হোসেন সমস্ত হিসাব ডিসেম্বর ২০২৩ইং সাল পর্যন্ত ঠিক রাখিয়া ১৫ই জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখের ভিতর বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করি। উভয় পক্ষ কার্যকরি কমিটির নিকট ১৫ইং জানুয়ারী হিসাব বুঝিয়ে দেয়।

উভয় পক্ষ যে হিসাব সমিতির কার্যকরি কমিটিকে প্রদান করিয়াছে তাতে নানাবিধ গড়মিল দেখা যায় তাহাদের হিসাব অনুযায়ী সমিতির নগদ অর্থ ২০,০০,০০/- (বিশ লক্ষ) টাকার হিসাব দেখাতে পারেনি তারা মৌখিক ভাবে বলছেন যে উক্ত টাকা সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে জমা আছে। কিন্তু যাছাই বাছাই করে এর কোন মিল পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয়ত সঞ্চয় জমা বিনিয়োগ জমা ঋণ বিতরন ও আয় ব্যায় হিসাবে ২৫,০০,০০০/- (পচিশ লক্ষ্য) টাকার কোন সঠিক হিসাব প্রদান করিতে পারেনি।

সমিতির সভাপতি একাধিক বার তাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করি কিন্তু উভয় পক্ষ কোন কর্ণপাত না করিয়া স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় পাওনা পরিশোধ না করে টালবাহানা করে উল্টো বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহকদের বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে।

এ বিষয়ে জানতে গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের(রেজিষ্ট্রেশন নং ১৩৯৬২) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় খানজাহান আলী থানা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন

আত্মসাৎ কারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রাহকদের অর্থ ফেরৎ অনিশ্চিত!

প্রকাশঃ 01:38:10 pm, Monday, 23 June 2025

মোঃ মামুন মোল্লা 

 

গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের(রেজিষ্ট্রেশন নং ১৩৯৬২) বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহকদের নগদ ক্যাশ ২০ লক্ষ টাকা সহ বিনিয়োগের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সমিতির অর্থ সম্পাদক মোঃ ফারুক রিপনের বিরুদ্ধে এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সমিতির অফিসের জরুরী ডকুমেন্ট ও কাগজপত্রসহ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ।

ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চট্টগ্রামের বন্দর থানাধিন ২নং মাইলের মাথা এলাকায় অবস্থিত গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোঃ সমীর হোসেন নিজের চাকুরীর সর্বস্ব অর্থ এবং নিজের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করেন গোধূলী সমবায় সমিতিতে। চাকরির সুবাদে সভাপতি মোঃ সমীর হোসেন দেখভাল করতে না পারায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং অর্থ সম্পাদ মোঃ ফারুক রিপন অত্যান্ত চতুরতার সহিত গোপনে সমিতির বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকদের অর্থ বিভিন্ন সময়ে আত্মসাৎ করে। বিষয়টি সমিতির সভাপতির নজরে আসলে বুঝে ওঠার আগেই তারা সমিতির নগদ ক্যাশ ২০ লক্ষ টাকা সহ বিনিয়োগকারীর এবং গ্রাহকদের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নেয়।

গোধূলি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোঃ সমীর হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে আত্মসাৎকারীদ্বয় বহিরাগতদের নিয়ে সমীরের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টানে জোরপূর্বক তালা দিয়ে এ বিষয়ে কথা না বলেতে এবং এলাকা ছাড়ার হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সমাধান চেষ্টা করা হলেও আত্মসাত কারীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থাকায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ করাও করা হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা সমবায় অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা লিখিত দেওয়া হয়েছে।

গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহকগণ বিনিয়োগেরকৃত অর্থ ফেরৎ পেতে এবং সমিতির সাধারণ ও সম্পাদক অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় করা অভিযোগে সুত্রে জানাযায়, গোধুলী শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফারুক রিপন মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প সাথে সরাসরি সংপৃক্ত ছিল ও সাধারন সম্পাধক মোঃ রফিকুল ইসলাম দৈনিক প্রকল্প সাথে সংযুক্ত ছিল তারা উভয় সমিতির সকল প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করিয়াছে এবং সমিতির অফিস জমার অর্থ স্ব স্ব নিজ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সমিতির যাবতীয় লেনদেন করতেন। সমিতির অডিট করার লক্ষ্যে নভেম্বর-২০২২ইং তারিখ মৌখিক ভাবে আমি মোঃ সমির হোসেন সমস্ত হিসাব ডিসেম্বর ২০২৩ইং সাল পর্যন্ত ঠিক রাখিয়া ১৫ই জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখের ভিতর বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করি। উভয় পক্ষ কার্যকরি কমিটির নিকট ১৫ইং জানুয়ারী হিসাব বুঝিয়ে দেয়।

উভয় পক্ষ যে হিসাব সমিতির কার্যকরি কমিটিকে প্রদান করিয়াছে তাতে নানাবিধ গড়মিল দেখা যায় তাহাদের হিসাব অনুযায়ী সমিতির নগদ অর্থ ২০,০০,০০/- (বিশ লক্ষ) টাকার হিসাব দেখাতে পারেনি তারা মৌখিক ভাবে বলছেন যে উক্ত টাকা সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে জমা আছে। কিন্তু যাছাই বাছাই করে এর কোন মিল পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয়ত সঞ্চয় জমা বিনিয়োগ জমা ঋণ বিতরন ও আয় ব্যায় হিসাবে ২৫,০০,০০০/- (পচিশ লক্ষ্য) টাকার কোন সঠিক হিসাব প্রদান করিতে পারেনি।

সমিতির সভাপতি একাধিক বার তাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করি কিন্তু উভয় পক্ষ কোন কর্ণপাত না করিয়া স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় পাওনা পরিশোধ না করে টালবাহানা করে উল্টো বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহকদের বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে।

এ বিষয়ে জানতে গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের(রেজিষ্ট্রেশন নং ১৩৯৬২) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।