খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় (সোমবার) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতির পর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের।
জানা গেছে, বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা। এ ছাড়া বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে নেতাকর্মীদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। একইসঙ্গে কেউ যাতে সড়কে নামতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, নেতাকর্মীরা দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে ফুটপাতে দাঁড়াবেন। খালেদা জিয়ার গাড়ির পেছনে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যাওয়া যাবে না। গাড়ির পেছনে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দরের ভেতরে ও খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিসীমা মেনে ও এক্সপ্রেসওয়ের বাম পাশের সেইফ লেন ব্যবহার করে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেছে। তবে এ গতিসীমা ও লেন না মানলে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা শাস্তির মুখে পড়বেন বলেও জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওভার স্পিড ও লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে উদ্দেশ্যমূলক মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি করে রাখে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।