Dhaka 2:16 pm, Tuesday, 6 May 2025

খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় রাস্তার দুই ধারে হাজারো নেতাকর্মী

যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চার মাস পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার বাসভবন গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত হাজার নেতাকর্মী অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিমানবন্দরে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ অনেকেই। এ ছাড়াও সড়কের দুই পাশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে অপেক্ষা করছেন এবং স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন দলের শত শত নেতাকর্মী। আবেগতাড়িত হয়ে উল্লসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা।

দলীয় পতাকা হাতে নেতাকর্মীদের অনেকে জোর গলায় বলছেন, ‘দেশনেত্রী ফিরছেন- এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।’ কেউ কেউ আবার মুঠোফোনে ফেসবুক লাইভে আছেন ফিরোজার সামনে থেকে।

রাজনীতির মাঠে খালেদা জিয়ার এ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কারও কাছে এটি মাইনাস টু তত্ত্বের ব্যর্থতা, কারও কাছে এটি শুধু একজন নেত্রীর ঘরে ফেরা নয়- একটি রাজনৈতিক বার্তা।

খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় (সোমবার) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতির পর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে আওয়ামী সরকার।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় রাস্তার দুই ধারে হাজারো নেতাকর্মী

প্রকাশঃ 04:39:42 am, Tuesday, 6 May 2025
যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চার মাস পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার বাসভবন গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত হাজার নেতাকর্মী অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিমানবন্দরে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ অনেকেই। এ ছাড়াও সড়কের দুই পাশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে অপেক্ষা করছেন এবং স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন দলের শত শত নেতাকর্মী। আবেগতাড়িত হয়ে উল্লসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা।

দলীয় পতাকা হাতে নেতাকর্মীদের অনেকে জোর গলায় বলছেন, ‘দেশনেত্রী ফিরছেন- এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।’ কেউ কেউ আবার মুঠোফোনে ফেসবুক লাইভে আছেন ফিরোজার সামনে থেকে।

রাজনীতির মাঠে খালেদা জিয়ার এ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কারও কাছে এটি মাইনাস টু তত্ত্বের ব্যর্থতা, কারও কাছে এটি শুধু একজন নেত্রীর ঘরে ফেরা নয়- একটি রাজনৈতিক বার্তা।

খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় (সোমবার) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতির পর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে আওয়ামী সরকার।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।