Dhaka 7:48 am, Saturday, 5 July 2025
ফাউন্ডেশন

কয়রার অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীর পা‌শে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন

 

খুলনার কয়রা উপ‌জেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সাতহালিয়া গ্রামের অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী ছাত্র রেজওয়ান আহমেদ’র পা‌শে দাঁড়ি‌য়ে‌ছেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রেজওয়ান আহমেদের ভর্তি কার্যক্রম ও বইপত্র ক্রয়ের জন্য সোমবার (৩ ফেব্রুয়া‌রি) শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে ফাউন্ডেশনটি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির অধীনে ডাঃ শাহ মুহম্মদ আমান উল্লাহর পরিকল্পনায় এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডাঃ পারভেজ রেজা কাকনের ব্যবস্থাপনায় এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, সদস্য ডাঃ কে এম বাবর, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ অমল চন্দ্র পাল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডাঃ এম. আর. হাসান, ড্যাব এর বারডেম শাখার সভাপ‌তি ডাঃ আমিরুল ইসলাম পাভেল প্রমুখ।

রেজওয়ান আহ‌মেদ ব‌লেন, আমার পা‌শে দাঁড়া‌নোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর‌ছি। আমি একজন ভা‌লো চি‌কিৎসক হ‌য়ে দে‌শের জন্য কাজ কর‌তে চাই। তার জন্য সমা‌জের সর্বস্ত‌রের মানু‌ষের দোয়ার অনু‌রোধ ক‌রে‌ছেন।

রেজওয়ান আহমেদের পিতা ইব্রাহিম খলিল ব‌লেন, ২০১৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে ধারদেনার মধ্যে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছেলেটার মেডিকেলে ভর্তি আর পড়ালেখার খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য ছিল না। এ বিষ‌য়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী প‌ত্রিকায় প্রতি‌বেদন প্রকাশ করার প‌রে উপ‌জেলা নির্বাহী অ‌ফিসার ২০ হাজার টাকা দেন। আর আজ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন পড়াশুনার সম্পূর্ণ দা‌য়িত্ব নি‌য়ে‌ বই কেনার টাকা দি‌য়ে‌ছেন। তি‌নি সং‌শ্লিষ্ট সক‌লের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক‌রেন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য ডাঃ এম.আর হাসান ব‌লেন, প‌ত্রিকার মাধ‌্যমে বিষয়‌টি দৃষ্টি গোচর হলে তার ব্যপা‌রে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। পরবর্তী‌তে আমা‌দের সংগঠন তার পড়াশুনার দায়িত্ব নেন। অস্বচ্ছল প‌রিবা‌রের স্বপ্ন পূরণে আমা‌দের সংগঠন প্রতি বছর তিন জন মে‌ডি‌কেলের শিক্ষার্থীর দা‌য়িত্ব নেন।

প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সু‌যোগ পে‌য়েও পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে ভর্তি ফি জোগাড়ে সমস্যায় প‌ড়ে রেজওয়ান আহমেদ। অভাব অনট‌নের ম‌ধ্যে বে‌ড়ে ওঠা রেজওয়ান কখনো থেমে থাকেনি। অনেক না পাওয়ার মধ্যে বেড়ে উঠলেও শিক্ষাজীবনে প্রতিটি ধাপে সাফল্য পেয়েছে। সাতহালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। গিলাবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তায় খুলনা সুন্দরবন কলেজে পড়াশুনা ক‌রে জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য অর্জন করে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি সে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কয়রা উপজেলা থেকে একমাত্র রেজওয়ান আহমেদ গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় খানজাহান আলী থানা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন

ফাউন্ডেশন

কয়রার অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীর পা‌শে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন

প্রকাশঃ 11:33:09 am, Tuesday, 4 February 2025

 

খুলনার কয়রা উপ‌জেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সাতহালিয়া গ্রামের অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী ছাত্র রেজওয়ান আহমেদ’র পা‌শে দাঁড়ি‌য়ে‌ছেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রেজওয়ান আহমেদের ভর্তি কার্যক্রম ও বইপত্র ক্রয়ের জন্য সোমবার (৩ ফেব্রুয়া‌রি) শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে ফাউন্ডেশনটি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির অধীনে ডাঃ শাহ মুহম্মদ আমান উল্লাহর পরিকল্পনায় এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডাঃ পারভেজ রেজা কাকনের ব্যবস্থাপনায় এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, সদস্য ডাঃ কে এম বাবর, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ অমল চন্দ্র পাল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডাঃ এম. আর. হাসান, ড্যাব এর বারডেম শাখার সভাপ‌তি ডাঃ আমিরুল ইসলাম পাভেল প্রমুখ।

রেজওয়ান আহ‌মেদ ব‌লেন, আমার পা‌শে দাঁড়া‌নোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর‌ছি। আমি একজন ভা‌লো চি‌কিৎসক হ‌য়ে দে‌শের জন্য কাজ কর‌তে চাই। তার জন্য সমা‌জের সর্বস্ত‌রের মানু‌ষের দোয়ার অনু‌রোধ ক‌রে‌ছেন।

রেজওয়ান আহমেদের পিতা ইব্রাহিম খলিল ব‌লেন, ২০১৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে ধারদেনার মধ্যে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছেলেটার মেডিকেলে ভর্তি আর পড়ালেখার খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য ছিল না। এ বিষ‌য়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী প‌ত্রিকায় প্রতি‌বেদন প্রকাশ করার প‌রে উপ‌জেলা নির্বাহী অ‌ফিসার ২০ হাজার টাকা দেন। আর আজ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন পড়াশুনার সম্পূর্ণ দা‌য়িত্ব নি‌য়ে‌ বই কেনার টাকা দি‌য়ে‌ছেন। তি‌নি সং‌শ্লিষ্ট সক‌লের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক‌রেন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য ডাঃ এম.আর হাসান ব‌লেন, প‌ত্রিকার মাধ‌্যমে বিষয়‌টি দৃষ্টি গোচর হলে তার ব্যপা‌রে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। পরবর্তী‌তে আমা‌দের সংগঠন তার পড়াশুনার দায়িত্ব নেন। অস্বচ্ছল প‌রিবা‌রের স্বপ্ন পূরণে আমা‌দের সংগঠন প্রতি বছর তিন জন মে‌ডি‌কেলের শিক্ষার্থীর দা‌য়িত্ব নেন।

প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সু‌যোগ পে‌য়েও পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে ভর্তি ফি জোগাড়ে সমস্যায় প‌ড়ে রেজওয়ান আহমেদ। অভাব অনট‌নের ম‌ধ্যে বে‌ড়ে ওঠা রেজওয়ান কখনো থেমে থাকেনি। অনেক না পাওয়ার মধ্যে বেড়ে উঠলেও শিক্ষাজীবনে প্রতিটি ধাপে সাফল্য পেয়েছে। সাতহালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। গিলাবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তায় খুলনা সুন্দরবন কলেজে পড়াশুনা ক‌রে জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য অর্জন করে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি সে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কয়রা উপজেলা থেকে একমাত্র রেজওয়ান আহমেদ গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।