দূর্নীতির অভিযোগে কুয়েটের সাবেক ভিসি সহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত

20241128_165758-scaled.jpg

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা প্রদান ও অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে কুয়েটের সাবেক ২ ভিসি, ১ প্রো-ভিসি, ২ শিক্ষক, ৬ কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত মোতাবেক তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মাসুদ।

জানাযায়, কুয়েটের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ৫ আগস্টের পর দায়িত্ব নিয়ে ২০০৭ সালের পর থেকে দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরুকরেন। ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে অনেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে উপাচার্যের দপ্তরে। এ সব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে ২১ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয় ।

চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার , সাবেক ভিসি ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সাবেক প্রো-ভিসি মেকানিক্যাল বিভাগের প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, এবং কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল-কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দেবাশীষ মন্ডল, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য শাখা) মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পট্রোলার জি.এম. আবু সাঈদ, সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ ওমর ফারুক, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান রাজন, অফিস সহায়ক সত্যজিত কুমার দত্ত।

কুয়েটের ভাইন চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাসুদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা প্রদান, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত, সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ ২০০৩ এর ৪৪ (৫) ধারা ভঙ্গের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। যে কারনে গত ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত মোতাবেক তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ।

Share this post

PinIt
scroll to top