কয়রা প্রতিনিধিঃ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল
কয়রায় প্ররোচিত করে আত্মহত্যার ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সুরাত মোড়লের পুত্র মোঃ মেহেদী হাসান।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমার স্কুল পড়ুযা কন্যা হালিমা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ২নং কয়রা গ্রামের রাসেল হোসেন নামের এক যুবক। বিষযটি জানতে পেরে আমি ঐ যুবকের পিতা দিদারুলের সাথে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ দেওয়ার প্রস্তাব দেই। দেওয়ার পর তারা আমার নিকট অর্থের দাবি করে।
আমি অর্থের বিষয়টি অপারগতা প্রকাশ করে আমার কন্যাকে নাকনা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিবাহ দেই। বিয়ের পর থেকে রাসেল সহ আরও ২/৩ জন আমার মেয়েকে ঘর সংসার করতে দিবেনা বলে নানাভাবে মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে।
আমার কন্যাকে তার স্বামীর কাছ থেকে ফিরে এসে রাসেলের সংসার করার জন্য একাধিক বার প্রস্তাব দেয়। তাতে সে রাজি না হলে এক পর্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কন্যার সাথে রাসেলের পূর্বের তোলা ছবি ও গোপনীয় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভিতী প্রদর্শন করে।
আমার কন্যা তাকে হয়রানী না করার জন্য রাসেল সহ তাদের পরিবারের লোকজনদের কাছে অনুরোধ জানায়। তাতেও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। অবশেষে আমার কন্যা মানসম্মান রক্ষা করতে না পেরে রাসেলের সাথে মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় গত ৭ নভেম্বর আমার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি আত্মহত্যার প্ররোচিত হলেও তারা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উৎঘাটন করে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি। এ ব্যাপারে কয়রা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।