দেশের তথ্য ডেস্কঃ
ভিকটিম আনিকা আক্তার শ্রাবণী (২৩) প্রায় ৫ বছর পূর্বে আসামির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে ৪ বছর বয়সী তাদের একটি কন্য সন্তান আছে। বিবাহের পর থেকেই আসামি বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। ভিকটিম মোংলা ইপিজেডে চাকুরি করে সংসারে খরচ চালাতো। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে আসামি ভিকটিমের নিকট ব্যবসা করার জন্য ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমকে তালাক দিবে বা মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে, গত ২৩/০৯/২০২৪ তারিখ সকালে আসামি তার শশুর বাড়ি ফোন করে জানায় যে তাদের মেয়ে আনিকা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ঘরের ছিটকানী খুলে প্রবেশ করে ভিকটিমকে একটি কাঁথা দিয়ে ঢাকা মৃত অবস্থায় পেয়ে ডাকচিৎকার দেয়।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন আসলে ভিকটিমের পরিবার এই মৃত্যুকে কোনভাবেই আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ হয় এবং এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে RAB-6 এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৭নভেম্বর ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ০০.৫০ ঘটিকার সময় RAB-6, (সিপিএসসি) ও র্যাব-৪, (সিপিএসসি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, শ্রাবণী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঢাকা মহানগরের পল্লবী থানাধীন একটি জায়গায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে অভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে পল্লবী থানাধীন সেকশন ১১, রোড নং-৭ এলাকা হতে শ্রাবণী হত্যা মামলার প্রধান আসামি
১। মেহেদী হাসান তুফান (২৬), পিতা-মোঃ কামাল শেখ, সাং-পাবলা চুনুর বটতলা, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কেএমপি খুলনা, এ/পি-মোংলা পোর্ট পৌরাসভা, থানা-মোংলা, জেলা-খুলনা’কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।