কেসিসি’র কতৃক নগরীতে অবৈধ ফুটপাতের দোকানপাট অপসারণের অভিযান।

20241031_191151-scaled.jpg

দেশের তথ্য ডেস্কঃ
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ টায় ৩১/১০/২০৪ তারিখে অবৈধ ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানপাট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা জাহান স্বর্ণা এর নেতৃত্বে এবং সার্বিক পরিচালনায় কেসিসির স্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন অবৈধ ফুটপাট অপসারণ অভিযান করেন। যাহা সদর থানার মধ্যে নগর ভবন হতে হাদিস পার্ক যশোর রোড আহসান আহমেদ রোড – খানজাহান আলী রোড- জাতিসংঘ পার্ক – সাতরাস্তার মোড় হানিফ কাউন্টারের সামনে ময়লাপোতার মোড় (মাংস দোকান) ফারাজী পাড়া রোড – খানজাহান আলী রোড, ফেরীঘাট হয়ে ক্লে রোড অবৈধ অপসারণ শেষ করেন। অভিযান চলাকালীন নগরী সাতরাস্তা মোড়ে বেল্লাল হোটেল অভিযান চালিয়ে ফুটপাট ও অপরিষ্কার এর জন্য ৩ হাজার টাকা, শামীম টি স্টলকে ফুটপাতের জন্য ২ হাজার টাকা, ময়লাপোতার বনানী ফার্নিচারকে ১০ হাজার টাকা, মুন্না মিট শপ কে ৫ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ মিট শপকে ৫ হাজার টাকা, ভাই ভাই মিট শপ কে ২৫০০ টাকা, মিথুন মিট শপ কে ২৫০০ টাকা, আমতলা মান্নান স্টোর কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া বেশিরভাগ মানুষকে সতর্ক করে অবৈধ ফুটপাতের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নেওয়ার সুযোগ করে দেন। এছাড়া একই সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।

রিপ্লেতে উল্লেখ্য করা হয়- ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা ও মাংসপেশীতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও সাম্প্রতিককালে এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে।

সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সেরে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। ডেঙ্গু দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে। এই রোগের বাহক এডিস জাতীয় মশা। এডিস মশা পরিস্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই বাহক মশার দমনই হচ্ছে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়। খুলনা মহানগরীর সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আপনার ঘরে এবং আশেপাশে যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিন দিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যাক্ত টায়ার, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা/ নারকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারীর সেল, রেফ্রিজারেটর/এসির পানি ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এসব পাত্রে যাতে পানি জমতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হাই কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ রাখতে হবে, লো-কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্যকিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মশারীর ভিতরে রাখুন। অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে, যাতে পানি না জমে।

এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়, যথাসম্ভব লম্বা পোশাক পরুন ও দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারী ব্যবহার করুন। জ্বরে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রোগীকে বেশী বেশী তরল খাবার খাওয়ান। জ্বর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন ও ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করুন। জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্প্রেম্যান ও নর্দমা শ্রমিকদের মশকনিধন কার্যক্রমে সহায়তা করুন।

Share this post

PinIt
scroll to top