দেশের তথ্য ডেস্কঃ
খুলনার কয়রা হতে ১৬ বছরের বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের প্রধান আসামী ওয়াজকুরুনি’কে গ্রেফতার করেছে RAB-6
গত ১০/১০/২০২৪ তারিখ কেএমপি খুলনার আড়ংঘাটা থানায় ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। ভিকটিমের বাবা একটি গরুর ফার্মে চাকুরির সুবাদে স্বপরিবারে উক্ত ফার্মে বসবাস করেন। আসামী ওয়াজকুরুনি ঢালী উক্ত ফার্ম থেকে প্রতিনিয়ত গরুর দুধ সংগ্রহ করতো। গত ০৮/১০/২০২৪ তারিখ প্রতিদিনের মত সকালে ভিকটিমের বাবা গরুর ফার্মে কাজে যায় এবং ভিকটিমের মা ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে যায়।
ভিকটিম একা বাসায় থাকে। সেই সুযোগে আসামী মোঃ ওয়াজকুরুনী ঢালী (৩৫) উক্ত গরুর ফার্মে দুধ নিতে আসে এবং ভিকটিম ঘরের সামনে থালা বাসন ধোয়ার সময় একা পেয়ে জোর করে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি একজন প্রত্যক্ষদর্শী দেখতে পেয়ে দ্রুত ভিকটিমের বাবাকে জানালে সাথে সাথে ভিকটিমের বাবা ফার্মের অন্যান্য লোকজনদের সাথে নিয়ে ঘরের দরজা খুলে আসামীকে ঘর থেকে বের করে আনে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে এর পূর্বেও বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ঘরে একা পেয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে। পরবর্তীতে ভিকটিম ও আসামীর পরিবার আসামীকে ভিকটিমের সাথে বিবাহ দিবে বলে আসামীকে তার পরিবার নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আসামী কৌশলে আত্মগোপনে থেকে ধর্ষণকান্ড ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। ১৬ বছরের বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে RAB-6 , (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন টেপাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ওয়াজকুরুনি ঢালী (৩৫), পিতা- আমজেদ ঢালী, সাং শলুয়া পাশখালী, থানা-আড়ংঘাটা, কেএমপি, খুলনাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে আড়ংঘাটা কেএমপি, খুলনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।