পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ শাহরিয়ার কবির
খুলনার পাইকগাছায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গা উৎসব/ দুর্গাপূজা পালিত হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত টিম পূজা কমিটির লোকদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উৎসব করতে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৩২ মন্দিরে পুজা করা হচ্ছে।
৫ আগষ্ট সরকারের পট পরিবর্তনের ফলে পতিত সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা কিছু লোক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা করে। যাতে অনেকেই অজানা আতঙ্কে পুজা উদযাপনে প্রথম দিকে একটু অনাগ্রহ প্রকাশ করছিলেন। যা সরকারে দুর দর্শিতায় প্রশাসনের দিক নির্দেশনায়, ও বিএনপির সার্বিক সহযোগিতায় মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা কাজ শুরু হয় আনন্দচিত্তে। মন্দির ও মন্দির অঙ্গনে যেমন চোখ ধাধানো আলোকসজ্জা, তেমনি সকল সম্প্রদায়ের লোকের উপস্থিতি পাইকগাছা উপজেলা উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে। এব্যাপরে কথা হয় উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের চারবান্দা সার্বজনীন দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি জগদীশ রায়ের সাথে তিনি বলেন, উৎসব মুখর পরিবেশে আমরা পুজা করতে পেরে খুবই খুশি।সকল সম্প্রদায়ের লোক ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাপক সহযোগিতা পাচ্ছি। বিশেষ করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সজাগ দৃষ্টি থাকায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা সরকারসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সোলাদানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির অন্যতম নেতা এসএম এনামুল হক বলেন, একটি বিশেষ চক্র চেয়েছিল পুজার এই সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।
কিন্ত আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বুকুল ও আজিজুল বারী হেলালের দিক নির্দেশনায় সকল মন্দিরে কমিটি গঠন করে দিয়েছি। যারা পুজা কমিটির সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালণ করছে। সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে ধারাবাহিক ভাবে করা হয়েছে মতবিনিময়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব মুখর হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এটাকে প্রাণবন্ত করতে প্রশসানের সাথে সকলের সহযোগিতা আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। শারদীয় দুর্গাপূজায় সকলকে শুভেচ্ছা জানান।