বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ
বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির উপজেলার বিভিন্ন দূর্গা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ আহত হয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। সভার শুরুতেই সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ায় শেষমেশ মতবিনিময় সভা ভন্ডুল হয়ে যায় । ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার বিআরডিবি মিলনায়তনে। আহত সুলতান মাহমুদ জানায়, আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন পুঁজা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভার আহবান করা হয়। সভার শুরুতেই স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ব্রজেন ঢালী বক্তৃতা শুরু করলে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাহাদুর মুন্সী ও জলমা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ইসমাইল সেখ ও তার অনুসারীরা কিছু বুঝে উঠার আগেই জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সুলতান মাহমুদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এজাজুর রহমান শামীম, বিএনপি নেতা মোঃ কামরুল ইসলাম ও রাশেদ কামাল, যুবদলের আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নিরু ও হিন্দু কল্যান ফ্রন্ট নেতা ব্রজেন ঢালী সহ অন্যান্যরা সংঘর্ষ ঠেকাতে এলে আবু বক্কর সিদ্দিক নিরু ও ব্রজেন ঢালী নীলাফোলা জখম হয়। পরবর্তীতে নেতাকর্মীরা সুলতান মাহমুদকে উদ্ধার করে স্হানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং নিরু ও ব্রজেন ঢালী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে । তিনি আরও জানান, উক্ত সভায় সভা ব্যানারে সদ্য বিলুপ্ত জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের নাম ও ছঁবি না থাকার কারন জানতে চায় বাহদুর মুন্সি ও তার অনুসারীরা এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুলতান মাহমুদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে বাহাদুর মুন্সীর সাথে তার নিজ ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুলতান মাহমুদ ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও নেতৃবৃন্দের নাম না থাকায় নিজেদের ভিতর সামান্য কথা কাঁটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। কোনদিকে হাসপাতাল চত্বরে পুনরায় দুই দুই গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ হয়। বর্তমান উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জমিজানুর রহমান বলেন, এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।