দেশের তথ্য ডেস্কঃ
ভিকটিম পলি খাতুন (২৬) একজন সহজ সরল, পর্দাশীল মহিলা। ভিকটিম বর্তমানে যশোর সরকারী মহিলা কলেজে অধ্যায়নরত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী। আনুমানিক ০২ বছর পূর্বে ধৃত আসামী এবং ভিকটিম এর পরিচয় হয় এবং দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে আসামী ভিকটিমকে শারীরিক মেলামেশার জন্য প্রলুদ্ধ করতে থাকে। কিন্তু ভিকটিম বিবাহের আগে শারীরিক মেলামেশা করতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে আসামী গত ০৮/০৩/২০২৪ তারিখ ০১জন মৌলভী ডেকে এনে যশোরে অজ্ঞাত নামা একজনের বাড়িতে ভিকটিমকে বিবাহ করে এবং একটি নীল রংয়ের কাগজে ভিকটিম ও আসামীর স্বাক্ষর নেয়। উক্ত মৌলভী সাহেব বলেন ভিকটিম ও আসামীর বিবাহ হয়ে গেছে এখন থেকে তারা স্বামী স্ত্রী। এর পর আসামী ভিকটিমের সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে মেলামেশা করেন। এক পর্যায়ে ভিকটিম আসামীকে স্ত্রীর মর্যাদায় আসামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে আসামী ভিকটিমের সাথে বিবাহ অস্বীকার করে এবং ভিকটিমকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। আসামী আরো বলে যে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিবাহের নাটক সাজিয়ে ছিল। সর্বশেষ ঘটনার দিন তারিখ ও সময়ে আসামী ভিকটিমের বাড়িতে আসে এবং আসামী জোর পূর্বক ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আসামী স্বাক্ষীদের সামনে ভিকটিমকে স্ত্রী বলে অস্বীকার করে এবং স্বাক্ষীদের অপমান করে। তখন আসামী কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। আসামী তাহার যৌন কামনা পূরণ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের সাথে বিবাহের নাটক সাজিয়ে ভিকটিমের বিশ্বাস স্থাপন করে দিনের পর দিন ভিকটিমকে ধর্ষন করেছেন। ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গত ১৪ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। র্যাব-৬ এর আভিযানিক দল বিষয়টি জানতে পেরে ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং প্রধান ধর্ষন কারী আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখেন।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী যশোর জেলার সদর থানাধীন সাত মাইল এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ১৬.৩০ ঘটিকার সময় যশোর জেলার সদর থানাধীন সাত মাইল এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার প্রধান পলাতক আসামী- মোঃ হাসিবুল হাসান (শান্ত) (২৮), পিতাঃ লাল মোহাম্মদ, সাং- হাসাদাহ (০৮নং ওয়ার্ড), থানা- জীবননগর, জেলা- চুয়াডাঙ্গাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্থান্তর করা হয়।