গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ী ঘর ভাঙচুর করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এবং স্থানীয় একটি হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সুযোগ-সন্ধানী এ দুষ্কৃতিকারী চক্রটি গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সংঘবদ্ধভাবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রুহুল আমীন মুন্সী সহ আশপাশের একাধিক বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে জানা গেছে। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা খবর পেয়ে এ বিষয়ে সরেজমিনে ঘোষগাতী গ্রামে গিয়ে ভুক্তভোগী ও আশপাশের লোকজনের নিকট খোঁজ নিয়ে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা পান।
পরে ভুক্তভোগী রুহুল মুন্সীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৪৭) মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জ সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ২৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং – গোপালগঞ্জ সি.আর ১৫০৭/২০২৪ মোঃ দঃ বিঃ ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩৭৯/ ৩৮০/ ৪২৭/ ৫০৬ (!!)। মামলার বিবরণে জানা যায়,
ঘোষগাতী গ্রামের মৃত নাদের শিকদারের ছেলে সহিদ শিকদার (৪০) সহ ২৬ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার দিকে ঘোষগাতী গ্রামে বাদীর নিজ বাড়ীর (দোতলা ভবন) সামনে ব্যবসায়ী রুহুল আমীন মুন্সী ও তার পুত্রদের নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে বাদি তার স্বামী ও পুত্রদের নিয়ে নিচে নেমে গালিগালাজ করতে নিষেধ করে। পরে অভিযুক্ত সহিদ শিকদারের হুকুমে দলের অন্যান্য অভিযুক্তরা জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে বাড়ী ঘর ভাংচুর করে, আলমিরা ও ওয়্যার ড্রপ ভেঙ্গে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ, খাট, আসবাবপত্র সহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল লুট করে। বাদি সহ পরিবারের অন্যরা বাঁধা দিলে এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোন মামলা করলে দুষ্কৃতিকারীরা তাদেরকে স্বপরিবারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী নাজমা বেগম এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষে লিটু শেখ মারা যায়। যদিওবা আমরা কোন পক্ষেই ছিলাম না। আমার স্বামী-সন্তানেরা ব্যবসার কাজেই ব্যস্ত থাকে। গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে সহিদ শিকদার গং-এরা আমাদের সর্বস্ব লুটপট করে নিয়েছে। আমার স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্যদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। বাড়িঘর ছেড়ে আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় প্রাণভয়ে এদিক সেদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। আমরা আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় আইন উপদেষ্টা, মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহিদ শিকদারের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।