কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মানব পাচার মামলার নারী ভিকটিম উদ্ধার

20240922_204824-scaled.jpg

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

বাদী মোসাঃ লিমা বেগমের ছোট মেয়ে ভিকটিম সুরাইয়া (১৪) এর সাথে বাদীর মামাতো ভাই সাগর ৩ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তীতে সাগর (১৭) ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে গত ৩০ আগস্ট ২০২৪ খ্রি: বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে জনৈক কাজীর সহায়তায় বিয়ে করে এবং নগরীর লবণচরা থানাধীন হরিণটানা রিয়া বাজার এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। সাগর ভারতে অবস্থানরত তার মাতা হাসিনা বেগমের পরামর্শ অনুয়ায়ী ভিকটিমকে আজিম ফকির (১৭), সবুজ (১৭) এবং কামাল হোসেন শেখ (৩৯) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীদের সহায়তায় ভারতে অবৈধভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে গত ১১/০৯/২০২৪ খ্রি: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে নিয়ে যায়। ভারতে অবৈধভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে ৮/১০ জন মেয়েকে নিয়ে পাচারকারীদের একটি টিম মহেশপুর থানাধীন বাঘাডাঙ্গা সীমান্তের খোলা মাঠে অবস্থান করছে মর্মে বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেয়ে ১২/০৯/২০২৪ খ্রি: ভোরে বিজিবির টহল টিম ভিকটিমসহ আরো ৮/১০ জন মেয়েকে উদ্ধার করে। অত:পর তারা পাচারকৃত ভিকটিমদের এনজিও সংস্থা ‘জাস্টিস এন্ড কেয়ার’ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন। সংস্থাটি ভিকটিমকে সেল্টার হোমে রেখে কাউন্সিলিং করে মায়ের জিম্মায় প্রদান করেন।

এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মানব পাচার আইনে এজাহার দায়ের করেন। ভিকটিম পাচারের ঘটনায় জড়িত পাচারকারীদের গ্রেফতার অভিযান, তদন্ত ও আইনানুগ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

Share this post

PinIt
scroll to top