কলকাতা প্রতিনিধিঃ সমরেশ রায় ও শম্পা দাস
আজ ১৮ই সেপ্টেম্বর বুধবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পৌঁছালেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং বন্যা পরিদর্শনের পর তিনি গাড়ি নিয়ে মেদিনীপুরের সার্কিট হাউস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।তিনি জানান এটা ম্যানমেড বন্যা। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন এবং বানভাসি মানুষদের আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন এবং সাংবাদিকদের বলেন, এটি ম্যানমেড বন্যা, রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ডিভিসির জল ছাড়ার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি বলেন বাংলাকে কতভাবে বঞ্চনা করবে। হুগলি পুরশুরার পরে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে হাঁটু জলে নেমে পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি জানান কেন্দ্র সরকারের কাছে ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান পড়ে রয়েছে, সেটি না করায় রাজ্য সরকার সেটা নিজের হাতে নিয়েছে করার জন্য,
ডিভিসির জল বিপুল পরিমাণে ছাড়াই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা আজ বন্যা কবলিত, ঝাড়খণ্ডের জলে বাংলা প্লাবিত হচ্ছে , সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসি থেকে, এত জল এর আগে ছাড়া হয়নি। পরিকল্পিতভাবে বাংলায় এই ম্যানমেড বন্যা করা হচ্ছে বলে জানান, আমি নিজে ডিভিসির সঙ্গে কথা বলেছি। এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমি বন্যা দুর্গত মানুষদের সাথেও কথা বলেছি।
আগামীকাল যাব পাঁশকুড়াতে বন্যা পীড়িত মানুষদের কাছে, যে কোনো দরকারেই আমাদের সরকার তাদের পাশে আছে, আমি প্রশাসনকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি, বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি মেদিনীপুর সার্কিট হাউস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন, বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী পুরো বিষয়টি দেখছেন বলে বানভাসি মানুষদের আশ্বাস দেন।
এবং বন্যা পরিস্থিতির ফলে, এলাকার ডিজাস্টার দল তৈরি রেখেছেন , যাতে কোন রকম দুর্ঘটনা থেকে মানুষকে রক্ষা করা যায়, সব রকম ভাবে প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা রেখেছেন বান ভাসিদের জন্য। প্রশাসনের দিক থেকেও তা তৈরি রয়েছেন বলে জানা যায়।
বন্যার ফলে সমস্ত গ্রাম জলের তলায় শুধু তাই নয় ইলেকট্রিসিটি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বিচ্ছিন্ন।, কোনরকমে অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন, পানীয় জলেরেও অভাব।