পাইকগাছায় টানা ভারী বর্ষণে জন দূর্ভোগ; তলিয়ে গেছে শত শত চিংড়ি ঘের

20240917_192817-scaled.jpg

পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ
খুলনার পাইকগাছায় গত ৪ দিনের ভারী বৃষ্টিতে পৌরসভা সহ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি সোমবার দিনভর অব্যাহত ছিল। ভারি বৃষ্টিতে পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যাচ্ছে, ফসল ও বাড়ির উঠান ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের ভিতর ও বাইরের শত শত চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে।তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি । টানা ভারী বর্ষণে এলাকায় জন দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে । টানা বর্ষণের কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের দিন মজুর।টানা বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে ।

বিভিন্ন খাল, নালা-নর্দমা থেকে পানি উপচে অনেক জায়গায় রাস্তা তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় পানি কমতে দেরি হচ্ছে । বিভিন্ন জায়গায় কাচা ঘরবাড়ী ধসে পড়ছে । জমিতে রোপনকৃত আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে । গদাইপুর ইউনিয়নের মৎস্য চাষ এবং ধান চাষী মনিরুল জানান,কিছু দিন পূর্বে ভারী বৃষ্টির কারণে ধান তলিয়ে গিয়ে ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আমরা পুনরায় বীজতলা সংগ্রহ করে রোপণ করেছি, এবার এ বৃষ্টিতে যদি নষ্ট হয়ে যায় তা হলে এ মৌসুমে আর আমন ধান হবে না । আমরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বো

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, পর পর দুই বার ভারী বৃষ্টিতে আমন ধান তলিয়ে যাওয়ার কারণে পাইকগাছায় আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে না।

Share this post

PinIt
scroll to top