সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নৃশংসভাবে ভাবে হত্যা মামলার আসামিদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬

20240915_223704-scaled.jpg

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

ভিকটিম একজন বাক প্রতি বন্ধী ও সহজ সরল মেয়ে। চুমকি হত্যার মূল হোতা এজাহার নামীয় ০১নং আসামী মোঃ ইলিয়াছ (৩৫), পিতা- মোঃ একরামুল হক, গ্রাম- থানাঘাটা, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরা ভিকটিম এর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে যৌন উক্তাত্ত করা সহ মাঝে মধ্যে কুপ্রস্তাব দিত।

ভিকটিম আসামীর যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে তার পিতা মাতা ও বড় বোনকে বিষয়টি জানায়। ভিকটিম এর বড় বোন, মা ও বাবাকে সাথে নিয়ে ০১নং আসামীর বাবা মা ও পরিবার’কে ঘটনার কথা জানালেও আসামীকে নিষেধ না করে উল্টো ভিকটিম এর মা বাবা ও বড় বোনকে অপমানিত করে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। আসামী মোঃ ইলিয়াছ ভিকটিম এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজতে থাকে।

ঘটনার দিন গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম সদর থানাধীন থানাঘাটা সাকিনস্থ মাধব স্বর্নকারের বাড়ির সম্মুখে পাকা রাস্তার উপর পৌছাইলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সকল আসামীগন হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। ০১নং আসামী ভিকটিমের পিছন দিক হইতে তার হাতে থাকা লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় স্বজোরে কয়েকটি আঘাত করে। উক্ত আঘাতের ফলে ঘটনা স্থলেই ভিকটিম মৃত্যু বরণ করে।

স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের বড় বোন সকিনা খাতুন (৩০) বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ০০.৩০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ সকল আসামীরা পালিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন থানাঘাটা নামক স্থানে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি অদ্য ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ তারিখ রাত্র ০১.০৫ ঘটিকার সময় সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানাধীন থানাঘাটা নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী
১। মোঃ ইলিয়াস হক (৩৫), পিতা- মোঃ একরামুল হক,
২। মোঃ ইমরান হক (২৩), পিতা- মোঃ একরামুল হক,
৩। মোছাঃ নারগিস পারভিন (৪০), স্বামী- মোঃ আবু ছালেম,
৪। মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন, স্বামী- মোঃ একরামুল হক,
৫। শাওন (২৮), পিতা- মোঃ আবু ছালেম,
৬। মোঃ আবু ছালেম, পিতা- মৃত খন্দকার আবুল কাশেম, সর্ব সাং- থানাঘাটা হিন্দুপাড়া, থানা ও জেলা সাতক্ষীরাগনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top