নবান্ন অভিযানকে ঘিরে কলকাতা উত্তাল, চললো জলকামান, লাঠিচার্জ, স্টিয়ারিং গ্যাস ছোড়া।

IMG-20240828-WA0000.jpg

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা

আজ ২৭ শে আগস্ট মঙ্গলবার, ঠিক দুপুর একটায়, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে, আর জি কর মেডিকেল কলেজে ডাক্তার কে খুন ও ধর্ষন করে যারা মেরেছে, সেই খুনিদের ফাঁসির দাবিতে, এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ এর দাবিতে নবান্ন অভিযান।

নবান্ন অভিযান কে কেন্দ্র করে ,‌ সকাল থেকে নবান্ন যাওয়ার বিভিন্ন ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়, এবং প্রতিটি রাস্তার মোরে প্রযাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়, এমনকি জন কামাল থেকে শুরু করে স্টিয়ারিং গ্যাস ও লাঠি ধারী পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।

বিভিন্ন রাস্তা ধরে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করে ঠিক ব্যারিকেড এর সামনে পৌঁছায়, এবং ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে, সাথে পুলিশ জলকামান থেকে শুরু করে স্টিয়ারিং গ্যাস জনগনকে লক্ষ্য করে ছুড়তে থাকে, এমনকি ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে থাকে, ফলে অনেকে আহত হয় , ওই গ্যাসে‌ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে নবান্ন অভিযান কারীরা আরো খিপ্ত হয়ে ওঠে, ফলে তারা রাস্তায় পুলিশের গাড়ি দেখলেই তারা করতে থাকেন, পুলিশ এর গাড়ি ও অফিসারেরা প্রান বাঁচাতে খুব স্পীডে গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে প্রান বাঁচান,

বিনা দোষে লাঠিচার্জ ও স্টিয়ারিং গ্যাস ফাটিয়ে অভিযান কারিদের আহতো করায় , অভিযান কারীরা লালবাজার ঘেরাও ও ধর্মতলা অবরোধ করে যান চলাচল স্তব্ধ করে দেন।

এতেই ক্ষান্ত হননি আজকের অভিযান কারিরা, লালবাজারে কয়েকজন কে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ায় এবং তাদেরকে যতক্ষণ না ছাড়ছে তার প্রতিবাদে, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন ভাষায় আক্রমণ করতে থাকেন। যতক্ষণ না গ্রেপ্তারকারীদের ছাড়া না হবে তারা এই আন্দোলন চালাবেন, শুধু তাই নয় ধর্মতলা চত্বরে যে সকল তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার লাগানো ছিল এবং আগামী কালকে তৃণমূল ছাত্র দিবসের যে পোস্টার লাগানো ছিল, অভিষেক ব্যানার্জি ও মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিলো ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দেন, শুধু তাই নয় আগামী কাল ছাত্র দিবসের যে গেট তৈরি করা হয়েছিল মোড়ে মোড়ে সেগুলিও ছিড়ে দেন।

সারা শহর ও জুড়ে একটাই দাবী, দোষীদের ফাঁসি ও মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ, খুনি পুলিশ ও খুনি মন্ত্রীর দরকার নাই ‌ বোলে স্লোগান দেন,

আজকের এই অভিযানকে ঘিরে আগামীকাল ভারতীয় জনতা পার্টি ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকলেন, একদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস , অন্যদিকে বাংলা বনধ, জনগণের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে, আবার কি হবে। কি ঘটতে চলেছে। গাড়ি ঘোড়া চলবে কিনা, অফিস আসতে পারবে কিনা। অফিস যাত্রীরা সংশয়ে।

রিপোর্টার,

Share this post

PinIt
scroll to top