রায়পুরার দূর্গম চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুরুতর আহতসহ বসত ঘরবাড়ি এবং দোকানপাটে লুটপাট

IMG-20240826-WA0001.jpg

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে শফিকুল ইসলামের প্রতিবেদন।

নরসিংদী জেলার বৃহত্তর রায়পুরা উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সালাম ও সামসু মেম্বারের আধিপত্য বিস্তার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুরুতর আহতসহ বসত বাড়িঘর ভাঙচুর এবং দোকানপাট লুটপাটে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে,বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সালামের বসত বীরনিবাস,২০/২৫টি বসত ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও দোকানপাট লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে প্রতিনিধি জানতে চাইলে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সালাম জানান, ২০২২ সালে আগষ্ট মাসে ৫ তারিখে জাতীয় শোক দিবস পালন করার বিষয় নিয়ে সামসু মেম্বারের সাথে বাকবিতন্ড হয়।সেইদিনই আমি মুজিতপুর গ্রামে যাওয়ার পথে হঠাৎ আমাকে অর্তকিতভাবে ৫/৬ জন মিলে আক্রমণ করে এবং গুরুতর আহত করেন।আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
তাছাড়া তিনি আরও জানান, সামসু মেম্বার প্রায় তিন বছর বাড়ি ছাড়া ছিলেন।গত ১৯ জুলাই নরসিংদী জেল হাজত কারাগার ভেঙ্গে বাঁশগাড়ী ও মির্জারচরের কুখ্যাত আসামীরা পালিয়ে চলে আসে।এই কুখ্যাত আসামীরা সহ কয়েকজন মিলে সামসু মেম্বারকে তার বসত বাড়িতে নিয়ে আসে। সামসু মেম্বার বাড়িতে আসার পর পরই এলাকায় তার নেতৃত্বে কুখ্যাত সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে মোহিনীপুর গ্রামের নুরুল আমিন নামক একব্যক্তিকে এলোপাতাড়িভাবে কোপ ও পায়ের লগ কেটে ফেলেছে।ভাড়াটিয়া আরও কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা বীরমুক্তিযোদ্ধার সমর্থনের লোকজনের উপর কাকটেল বিস্ফোরণ, বসত ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও দোকানপাটে লুটপাট করতে থাকে।এছাড়া সামসু মেম্বারের ছেলে মাদক সাইফুল বীরমুক্তিযোদ্ধার সর্মথন মোমেন(৭০) নামক এক ব্যক্তির উপর ককটেল নিক্ষেপ করে।এই ককটেল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছে।আহতরা হলেন তাজু,রফিকুল,বাচ্চু মিয়া,রাজন,তমিজ উদ্দিন,বাসেদ মিয়া,ওমরসহ আরও ১০/১২ জন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোমেন সরকার প্রতিনিধিকে জানান,আমার এই ইউনিয়নের শান্তির লক্ষ্যে দুই পক্ষের প্রায় তিন বছরের আধিপত্য বিস্তার জের আপোষ মীমাংসার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইন প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সর্বোচ্চ আমি চেষ্টা করেছি,কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এলাকাবাসী প্রতিনিধিকে জানান,আমাদের ইউনিয়নে এই দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকায় পুরুষ শূণ্য হচ্ছে।
রায়পুরা থানা পুলিশ
উপ-পরিদর্শক সামসুল প্রতিনিধিকে জানান,বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সালাম ও সামসু মেম্বারদের আধিপত্য বিস্তার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বসত ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও দোকানপাটে লুটপাট হয়।কোনো পক্ষেই লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নি।

সামসু মেম্বার তার মুঠোফোনে প্রতিনিধি জানতে চাইলে তিনি জানান,প্রায় তিন বছর যাবৎ আমি গ্রামে থাকতে পারি নাই।এখন আমি গ্রামে আসার পরই আমাদের দুই পক্ষে পূনরায় সংঘর্ষে পরিণতি সৃষ্টি হয়।এই সংঘর্ষে আমার ছেলে সাইফুলকে বিপক্ষে সোহাগ তার উপর ককটেল বিস্ফোরণে আহত করে।

Share this post

PinIt
scroll to top