অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা ঃ
দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে মাচায় ঝুলছে লাউ-কুমড়া। কিন্তু না কাছে গিয়ে একটু ভালো করে দেখলে দেখা যাবে এগুলো লাউ বা কুমড়া নয়। বসত বাড়ির ক্ষেতের মাচার উপর ঝুলছে রকমিলন। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল নদী ও সুন্দরবন বেষ্টিত খুলনার কয়রায় লবণাক্ত জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজির পাশা পাশি অসময়ে উৎপাদিত প্রথম বার রকমিলন চাষ করে সাড়া ফেলেছেন খুলনার কয়রার ১০ কৃষক। এটি ব্যাপক উপকারিতা একটি ফল। সাধারনত এটি খুবই কম চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে কয়রায় প্রথমবার এই ফলের চাষাবাদ শুরু করেই ভাল উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। নতুন ফসলের এই প্রযুক্তি ভসমান বেডে মাচা তৈরি করে ফলটি চাষে সাফল্যের দেখা পেয়েছে কৃষকরা। ইসলামীক রিলিফ বাংলাদেশের ইকরা প্রকল্পের সহায়তায় অসময়ে রকমিলন চাষ করে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন উপকুলীয় এই কৃষকরা। কম খরচে বেশি ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। শুধু রকমিলন চাষ নয় ঐ প্রকল্পের মাধ্যমে অসময়ে তরমুজ চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ সহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করছেন ঐ ১০ পরিবারের সদস্যরা। তাদের দেখাদেখিতে এই এলাকার অনেক কৃষকই এই ঘেরের রাস্তায় কিংবা বসত বাড়ির ক্ষেতে রকমিলন ও তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়ি গ্রামের স্বামীহারা নমিছা খাতুন বলেন, আমার স্বল্প ভিটেবাড়িতে মাছ চাষের পাশাপাশি মাচার উপর রকমিল চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। প্রথমবার এই ফসল উৎপাদন করে ভাল ফলন পাওয়ায় বাজারে বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, ইসলামীক রিলিফ বাংলাদেশের ইকরা প্রকল্পের মাধ্যমে আমাকে এই চাষাবাদে সহযোগীতার পাশাপাশি উৎসাহ জাগানো হয়। বর্তমানে আমার ঐ বসত বাড়ির সম্বনিত সবজি মাছ চাষাবাদ করে আমি খুবই খুশি। ভেটকি চাষে প্রচুর �