স্টুডেন্টস হেলথ হোমের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ,আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন।

IMG-20240824-WA0000.jpg

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা

আজ ২৩শে আগস্ট শুক্রবার, ঠিক বিকেল তিনটায়, স্টুডেন্টস হেলথ হোম এর উদ্যোগে, কলকাতা প্রেসক্লাবে, একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, স্টুডেন্টস হেলথ হোমের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে। এবং তার সাথে সাথে আরজি করের ঘটনাকে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্টুডেন্টস হেলথ হোম এর সাধারণ সম্পাদক ডক্টর পবিত্র গোস্বামী, ডক্টর শংকর নাথ, ডাক্তার প্রদীপ মিশ্র, সংগঠনের সভাপতি শ্যামল সাহা এবং ডক্টর অপূর্ব মহাশয় সহ অন্যান্যরা।

এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সমস্ত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান, ২রা সেপ্টেম্বর স্টুডেন্টস হেলথ হোমের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনে উপস্থিত থাকার জন্য, মহাজাতি সদনে, দুপুর দেড়টায়।

মঞ্চ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তারা তুলে ধরেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে বিদ্বেষীন শান্তির আহ্বান।

বিশ্বের পরিবেশকে, শিশুর বাসযোগ্য ,করতে প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তন।

হোমের বার্ষিক সরকারি অনুদান বছরে দু’ কোটি টাকা করার আবেদন ।

স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে স্টুডেন্টস হেলথ হোম হাসপাতালের প্রচারে জনমত গঠন , এবং স্টুডেন্টস হেলথ হোম এর প্রচার।

তাহারা বলেন ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ,তার ধারাবাহিক অগ্রগতি ঘটে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্য অর্জন ও রক্ষায় হোম উত্তরোত্তর বর্ধিত ও দায়িত্ব পালন করে চলে। যার স্বীকৃতি মিলে 1962 সালে চালু হওয়া সরকারি সাহায্যে। তারা বলেন আমাদের প্রথম প্রথম সরকারি সাহায্য মিললেও ইদানিং তাহা বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রায়, ফলে অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। তাহারা বলেন ২০১১ ও ১২ সালে ২৩ লক্ষ সদস্যপথ ছিল, এখন ২০২০ ও ২১ সালে তা নেমে আসে মাত্র দু লক্ষে।।

করোনা কালে ও ইয়াস ঝড়ের পরে, সুন্দরবন জুড়ে ত্রাণকার্যে স্টুডেন্টস হেলথ হোম দরদি চিকিৎসক ও শিক্ষকদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এই আন্দোলনকে পুনর্জজীবন দেয়, এরপর থেকেই বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে সদস্য পদ বাড়তে থাকে, ২০২০ থেকে একুশে দু লক্ষ থেকে বেড়ে ২০২১ ও ২২ সালে ৫ লক্ষ তে দাঁড়ায়। এবং ২০২৩ থেকে‌ চব্বিশে দাঁড়ায় ৮.১৪ লক্ষ।

এরপর থেকে শুরু হয়েছে ন্যায্য মূল্যে সর্বসাধারণের জন্য সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা, ‌ লক্ষ্য সাধারনের চিকিৎসালব্ধ অর্থ সদস্য ছাত্রছাত্রীদের শাশ্রত পরিসেবাগুলি অব্যাহত রাখা, তৈরি হয়েছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার আলট্রাসনোগ্রাফি ইকো কার্ডিওগ্রাফি ডবলার মেশিন ডিজিটাল এক্স-রে ইসিজি বিভিন্ন ব্যবস্থা। ৫০ টি বেডে রয়েছে এই হেলথ হোমে, সাধারণ মানুষ বারোশো টাকার মধ্যে সমস্ত কিছু ফেসিলিটি পাবেন। স্টুডেন্টরা মাত্র 30 টাকায় সুযোগ সুবিধা পাবেন।
বিভিন্ন স্বনামধন্য ডাক্তাররা এই হেলথ হোমে যুক্ত রয়েছেন, যাহারা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন।

দেখতে দেখতে এই স্টুডেন্টস হেলথ হোম ৭৩ তম বর্ষে পদার্পণ করল, ওই দিনটা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে এবং তার সাথে সাথে আর জি করে , একজন মহিলা ডাক্তারকে যেভাবে নিশংস খুন করেছেন, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে আমরা তার প্রতিবাদেও ঐদিন সামিল হবো, এবং তাহার আত্মার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাবো, তাই সকলকে আমাদের বিনীত অনুরোধ সবাই আসুন, এবং এই অনুষ্ঠানটিকে আপনাদের সহযোগিতায় আরও যাতে এগিয়ে নিতে পারি তার কামনা করি।

আর আমরা কোন খাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি না বা টাকা চাইছি না ,যে টাকাটা দেন, সেটা আমরা সাধারণ মানুষের কাজে ব্যবহার করি, মানুষের স্বাস্থ্যের পরিষেবা দি, এবং স্টুডেন্টদের কাজে ব্যবহার করি। যাতে কম পয়সায় স্টুডেন্টরা উপকৃত হতে পারেন। আজকের দিনটি স্মরণীয় হওয়ার কারণ এই দিনটিতেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আর জি কর হসপিটাল, যেখানে ভিক্ষা চেয়ে এই হসপিটাল প্রথম প্রতিষ্ঠা হয়, তাই হসপিটালে একটি ঘিন্নতম ঘটনা মানুষকে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিলো, মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়,

Share this post

PinIt
scroll to top