দেশের তথ্য ডেস্কঃ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে তিনি ব্যবস্ত ছিল প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে। তার কারণে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের সঙ্গে মিশে গেছে আছে বাংলাদেশের নামও।
২০১৭ সাল থেকে প্যারিস অলিম্পিকের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। অলিম্পিকের বিডের সময় তার সাহায্য চেয়েছিল ভালোবাসার শহর প্যারিস। তার বিখ্যাত শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ– এই তিন শূন্য মডেল অলিম্পিকের জন্য উপস্থাপন করেছিল ফ্রান্স। প্যারিস অলিম্পিকের ভিলেজ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় অনুন্নত অঞ্চল সেইন্ট ডেনিসকে।
এ পরিকল্পনাতেও অবদান ছিল ড. ইউনূসের। এ অঞ্চলে আবাসন ব্যবস্থা করায় সেখানে গড়ে উঠে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে ড. ইউনূসের তিন শূন্য মডেলের একটি ‘শূন্য বেকারত্ব’ থেকে বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখে প্যারিস।
গেমস ভিলেজে থাকার জন্য মোট ১৪ হাজার ৫০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এতে ব্লক রয়েছে ৪০টি। বাতাসে কার্বনের দূষণ কমাতে রাখা হয়নি শীতাতপ নিয়ন্ত্রেনের বাড়তি ব্যবস্থা। এমনভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা হয়েছে, যেন বাইরের থেকে ভেতরে তাপমাত্রা অন্তত ৬ ডিগ্রি কম থাকে।
‘শূন্য কার্বন নিঃসরণ’ হচ্ছে তার তিন শূন্য মডেলের অন্যতম। এতে বর্জন করা হয় কার্বন মেশানো কংক্রিট। আর রাখা হয় পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা। আর ৯ হাজার গাছ লাগানো হয় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ সবুজ রাখার চেষ্টায়।
গেমস শেষে ভিলেজ ২ হাজার ৮০০টি অ্যাপার্টমেন্ট করা হবে। আর নিলামের মাধ্যমে সেইন্ট ডেনিসের বাসিন্দাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ফলে প্যারিসের তুলনায় পিছিয়ে থাকা সেইন্ট ডেনিসের ব্যবসা ও অর্থ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হয় ড. ইউনূসের তিন শূন্য মডেলের কারণে।
বলা হয়েছে ২০২৬ সালে মিলানে হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকেও একই মডেল অণুসরণ করার কথা। এ জন্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ইতালির মিলানের শহরের পক্ষ।
এর আগে নিজ দেশের শাসনভার চলে এসেছে তার কাঁধে। আগামী ১১ আগস্ট পর্দ নামবে প্যারিস অলিম্পিকের। ড. ইউনূসের উল্লেখযোগ্য প্রকল্প থেমে গেলেও, এর সুফল ঠিকই বহুদিনের জন্য পাবে ভালোবাসার শহর প্যারিস।