দেশের তথ্য ডেস্কঃ
সাভারে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে পুলিশের উপর্যুপরি গুলিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত মারা গেছেন নারীসহ ৯ জন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ দেড় শতাধিক মানুষ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
নিহতরা হলেন– আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রমজান আলী, মোজ্জাহিদ, তৌহিদুল রহমান, সাখোয়ান, রাসেল, নিশান, রফিকুল, নাফিজাসহ অজ্ঞাত আরও একজন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, সকালে সাভারের বাইপাইল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রমজান আলী নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার রেডিও কলোনি ও পাকিজার মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর আন্দোলনকারীরা সাভারের থানা রোড় এলাকায় সাভার মডেল থানায় হামলা করে। এসময় প্রায় ৩ ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সাভারের তিনটি পয়েন্টে অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে।
নিহত রফিকুলের ভাই রবিউল বলেন, আমার ভাই রাজমিস্ত্রির কাজ করে। দুপুরে সে থানার সামনে কাজে এসেছিল। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে আনা হয়। পরে সেখান থেকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।