কয়রা প্রতিনিধিঃ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল
খুলনার কয়রায় সুন্দরবনের কমিউনিটি পেট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্য ৫নং কয়রা গ্রামের শাহাদাত সানার ছেলে মোস্তফা শরিফ মামুনের বিরুদ্ধে সুন্দরবনে অসাধু জেলেদের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারে সহযোগীতা করা, বনবিভাগে ভুল তথ্য দেওয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে কয়রা সদর ইউনিয়নের স্থানীয় জেলে বাওয়ালীদের পক্ষে ৫নং কয়রা গ্রামের আলী আকবর গাজীর ছেলে মোঃ আবুল বাশার গাজী প্রধান বণ সংরক্ষক বরাবর এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ফরেষ্ট ষ্টেশনের আওতাধীন সুন্দরবনের কমিউনিটি পেট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি) সদস্য হওয়ার পর থেকে মোস্তফা শরিফ (মামুন) সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ও অন্য সময়ে অসাধু জেলেদের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করার সুযোগ করে দেন। বন বিভাগের লোকজন ডিউটিতে গেলে সে অসাধু জেলেদেরকে কোথায় ডিউটি দিচ্ছে তা জানিয়ে দেয় । যার কারণে বনবিভাগ অসাধু জেলেদের ধরতে পারেনা। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে এলাকার নীরিহ জেলে বাওয়ালীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার পাশাপাশি বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। ইতিপূর্বে তার অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিকবার বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করা হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সে আরও বেপোয়ারা হয়ে উঠেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে বাওয়ালী অভিযোগ করে বলেন, সিপিজি সদস্য মামুনের সাথে যোগাযোগ না করলে সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গেলে পড়তে হয় নানা হয়রানীতে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার পাশাপাশি বিভিন্ন হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে (সিপিজি) সদস্য মোস্তফা শরিফ (মামুন) বলেন, সুন্দরবনে অপরাধ দমনে বন বিভাগের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করছি। কিন্তু এলাকায় কিছু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে হযরানী করার চেষ্টা করছে আমি এ সকল কাজের সাথে জড়িত নই।
কাশিয়াবাদ ষ্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুুমার মন্ডল বলেন, সুন্দরবনের কমিউনিটি পেট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্য মোস্তফা শরিফ মামুনের বিরুদ্ধে অনেক জেলেরা অভিযোগ করেছেন। তাকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রেখেছি। যদি অসাধু চক্রের সাথে জড়িত থেকে সুন্দরবনের সম্পদ ধ্বংসে জড়িত থাকে তাহলে তদন্তপূর্বক তার সদস্য পদ বাতিল করা হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।