কয়রা প্রতিনিধিঃ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল
সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে নদী থেকে বিশ বা কীটনাশক দিয়ে শিকার করা ৭০ কেজি চিংড়িসহ একটি নৌকা জব্দ করেছেন বন বিভাগের সদস্যরা।
১আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন জেলেখালীর খালে টহলের সময় এই মাছ এবং নৌকা জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, আমরা টহলের সময় খাল ধরে কিছু দূর এগিয়ে গেলে তারা একটি নৌকা দেখতে পান। তারা নৌকার কাছাকাছি যাওয়ার আগেই জেলেরা নৌকা থেকে লাফ দিয়ে বনের গহীনে পালিয়ে যায়। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ফেলে যাওয়া নৌকা তল্লাশি করে তিনটি বস্তায় ভরা বিষ দিয়ে শিকার করা ৭০ কেজি চিংড়ি ও নিষিদ্ধ ঘন ফাঁসের ভেষাল জাল জব্দ করা হয়েছে।
স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মণ্ডল আরো বলেন, ‘আমরা গত রাতে আরো দুটি নৌকা জব্দ করেছি। সুন্দরবনের কেওড়াকাটা খাল ধরে দুটি নৌকা গহিন জঙ্গলে যাচ্ছিলো। নৌকা দুটিকে থামতে বললে নৌকায় থাকা জেলেরা বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। তবে ঐ দু’টি নৌকায় বরফ রাখা ছিলো।’
সরেজমিনে সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, আটক নৌকাগুলো ফরেস্ট স্টেশনের পাশে রাখা। একটি নৌকার মধ্যে চারটি বস্তায় ভরা চিংড়ি। বিষ দিয়ে শিকার করা চিংড়িতে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। পাশেই একটি ঘন ফাঁসের নিষিদ্ধ ভেষাল জাল।
পাশে দাঁড়ানো স্থানীয় কয়েকজন বনজীবী জেলে জানালেন, জোয়ারের সময় পানিতে বনের খাল ভরে উঠলে দুই প্রান্তে ভেষাল জাল (এক ধরনের ছোট ফাঁসযুক্ত জাল) দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়। ওই ফাঁদের মধ্যে কীটনাশক দিয়ে অপেক্ষা করেন জেলেরা। পরে বিষের প্রতিক্রিয়ায় মাছগুলো ভেসে উঠলে ধরে আনা এনে বিক্রি করে। তবে সুন্দরবনের গহীনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য কিছু অসাধু বনরক্ষী দায়ী বলে জানিয়েছেন ঐ জেলেরা।