দেশের তথ্য ডেস্কঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেলতলা এলাকার জিকে সেচখালের ওপর নির্মিত সেতুর বর্তমান অবস্থা। ছবি : কালের কণ্ঠ
ঝিনাইদহে দুই শতাধিক সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ খালের ওপর নির্মিত এসব সেতু মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে ছোট-বড় যানবাহন। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেলতলা, হরিশপুর, কালাপাহাড়িয়া, শ্রীপুর, ধুলিয়া, রামনগর, কুলবাড়িয়া, সাতব্রিজ আন্দুলিয়া, পোলতাডাঙ্গা, চটকাবাড়িয়া, পার্বতীপুর ও শৈলকুপা উপজেলার পুঁটিমারী, বেড়বাড়ী, ত্রিপুরাকান্দি, খুলুমবাড়িয়া ও চরপাড়া এলাকার সেতুগুলো ভেঙে পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি বেলতলা গ্রামের কৃষকরা বাঁশ দিয়ে সেতু মেরামত করে কোনোভাবে চলাচল করছেন। তবে মাঠ থেকে ফসল আনতে হলে ঘুরতে হয় পাঁচ কিলোমিটার পথ।
জোড়াদহ, ফলসি, রঘুনাথপুর ও তাহেরহুদা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে চলাচল করলেও সেতু সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। পাশের ফুলবাড়িয়া গ্রামের সেতুটি ভেঙেছে আড়াই বছর আগে। সেতুর মাঝখানে বড় ছিদ্র হওয়ায় পারাপার হচ্ছে না কোনো যানবাহন। কোনোভাবে ভ্যান, মোটরসাইকেল পার হলেও প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা উপজেলার মতো একই অবস্থা সদরের বেশির ভাগ সেতুর।
হরিণাকুণ্ডুর বেলতলা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘এই সেতু ১০ বছর আগে ভেঙে পড়ে আছে। মাঝে মাঝে কিছু লোক এসে আমাদের আশ্বাস দিয়ে যায়, তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না।’
শৈলকুপার উমেদপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, ‘দেড় বছর আগে সেতুটি ভেঙে গেছে। চলাচল করতে কষ্ট হয়। এলাকার মানুষ উপায় না পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই চলাচল করে।
শৈলকুপার হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘দেড় বছর আগে চরপাড়া গ্রামের একটি সেতু ভেঙে গিয়েছিল। কয়েকটি দপ্তরে ঘুরে কোনো ফল না পেয়ে স্থানীয়দের চলাচলের জন্য কয়েক মাস আগে নিজ অর্থায়নে আমি একটি সেতু করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানের জন্য এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ না থাকায় সেতুগুলো সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।’