কুমিল্লা ব্রিজের নির্মাণকাজের ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে

image_103894_1720842175-1.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

কুমিল্লার চান্দিনায় ইলিয়টগঞ্জ-বড়াইয়া কৃষ্ণপুর সড়কের রানীপুর এলাকার ব্রিজ নির্মাণকাজের ধীরগতিতে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহন চালক ও গ্রামবাসীদের। এ ছাড়াও চাঁদপুর জেলার পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থায় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

জানা যায়, এলজিইডির আওতায় ওই সড়কের রানীপুর ব্রিজের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের দিকে। কাজ শুরুর পর থেকেই ঠিকাদারের গাফিলতি আর কাজের ধীরগতির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন এলকাবাসী। পুরোনো ব্রিজটি ভাঙার আগে ব্যস্ততম ওই সড়ক কেটে ওই সময়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে উপজেলা প্রশাসন, পরিষদ ও জনপ্রতিনিধির প্রচেষ্টায় একটি বিকল্প সড়ক করা হয়। ওই পথ দিয়ে ছোট বড় সকল ধরনের ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য ইট ও সুরকি দিয়ে হেরিং বোন বন্ড করা হয়েছিল। তবে সড়ক পথ নিচু হওয়ায় বর্তমানে ওই বিকল্প সড়ক উপর দিয়ে সামান্য বৃষ্টি আর বন্যার পানি প্রবাহিত হলে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।

প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রিজের কচ্ছপগতির কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনার রয়েছে।

উপজেলার ১নং শুহিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে তদারকির কোন অভাব নেই। গত এক সপ্তাহ যাবৎ ধরে আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীকে এব্যাপারে জরুরিভাবে সড়কটি মেরামত করতে বলে আসছি। তবে কী কারণে মেরামত কাজ শুরু করেনি তা একমাত্র ঠিকাদার বলতে পারবেন। এমনকি উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করে ফেলতে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।

এদিকে কাজের ধীরগতির বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল হুদা প্রোপার্টিজের স্বত্ত্বাধিকারী রাসেল মিয়ার কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজের কাজ ও বিকল্প সড়কের মেরামত কাজ করা হবে বলে জানিয়ে কল কেটে দেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ব্রিজের ৯০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে আর ১০ ভাগ কাজ হওয়ার বাকি রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের কাজ ও ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ব্রিজের কাজ শেষ করে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

Share this post

PinIt
scroll to top