দেশের তথ্য ডেস্কঃ
রিকশাচালককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বগুড়ার শেরপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রেজিস্ট্রি কার্যালয় বাজার ও শেরপুর থানার সামনে মিছিল করে। শুক্রবার (১২জুলাই) দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পৌর শহর এলাকা। এক পর্যায়ে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বগুড়ার শেরপুরে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে আলাল হোসেন (২২) নামের এক রিকশাচালক গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শহরের রেজিস্ট্রি কার্যালয় বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত আলাল হোসেন পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে।
এদিকে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় বার্মিজ চাকু সন্ত্রাসী আদনান হাবিব ওরফে অনিককে (২৬) আটক করে বিক্ষুব্ধ জনতা। তিনি শহরের শান্তিনগর এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনিক শহরের রেজিস্ট্রি কার্যালয় বাজার সড়কের ওপর মোটরসাইকেল রেখে বাজার করছিলেন।
এতে সড়কটিতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় রিকশায় যাত্রী নিয়ে আটকে থাকা আলাল হোসেন মোটরসাইকেলটি সরানোর জন্য অনিককে অনুরোধ করেন। কিন্তু ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অনিক। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই মধ্যে অনিকের কাছে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়ে রিকশাচালক আলাল হোসেনের পেটের বাঁ পাশে আঘাত করেন।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, অনিক একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী। সব সময় সশস্ত্র অবস্থায় চলাফেরা করেন। তিনি মাদকসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে রিকশাচালককে ছুরিকাঘাত করেছেন।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে চাকুসহ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।