দেশের তথ্য ডেস্কঃ
থানায় আগত জনগণ কে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার ফলে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মহিদুল ইসলাম সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন সহ পৌরসভার মানুষের কাছে প্রশংসা অর্জন করে চলেছেন।থানায় জিডি ও মামলা করতে টাকা লাগেনা এটা তিনি বাস্তবে দেখিয়ে দিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মানুষকে।
খোজ নিয়ে জানা যায়,গত ১২/০৬/২০২৩ খ্রী : তারিখে তিনি সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। যোগদানের পর থেকে তার কর্মদক্ষতার ফলে মাদক বিরোধী অভিযানে অসংখ্য পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ওয়ারেন্ট সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও নিয়মিত মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে পুলিশের প্রহরায় আদালতে প্রেরণ এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারায় সদর উপজেলাবাসীর মুখে প্রশংসায় মুখর ওসি মহিদুল ইসলামের নাম । আইন সবার জন্য সমান তা তিনি সবার সামনে প্রমাাণ করেছেন।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়,ওসি মহিদুল যোগদানের পর থেকে পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী র নির্দেশনা মোতাবেক সদর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে গিয়ে তিনি বিট পুলিশ সমাবেশের আয়োজন করেন। বিট পুলিশিং সমাবেশের মাধ্যমে পুলিশের সাথে জনগণের দুরত্ব কমিয়ে এনেছেন তিনি।যার ফলে জনগণ পুলিশের সাখে খুব সহজেই তাদের মনের কষ্টের কথা এখন বলতে পারেন।
অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় ওসি মহিদুল আগষ্ট/২৩ মাসে, জানুয়ারি /২৪ ও মার্চ /২৪ মাসে খুলনা রেঞ্জের মাসিক ক্রাইন কনফারেন্সে খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট অর্জন করেছেন।তাছাড়া আগষ্ট মাসে তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে পুলিশ সুপারের নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহণ করেছেন।
ওসি মহিদুল ইসলামের সাথে দেখা করতে গেলে কারো অনুমতি লাগেনা। ধনী-গরীব সবার জন্য তার অফিসের দরজা খোলা।খুব জটিল জটিল বিষয় গুলো ওসি মহিদুল তার কক্ষে দুই পক্ষ কে বসিয়ে আলোচনা পূর্বক সালিশের মাধ্যমে মিমাংশা করিয়ে দেন।নিজের পেশাগত দায়িত্বে তিনি খুব একটিভ।
প্রতিদিনের কাজ তিনি প্রতিদিনই সম্পন্ন করেন। কোনো কাজই তিনি পেন্ডিং রাখেন না। কোনো কোনো দিন ওসি রাতে টহল দিয়ে বাড়ি যান রাত ২-৩ টার দিকে।সম্প্রতি শহরের সঙ্গীতা মোড়ের মোবাইলের দোকান থেকে ৭০ টি দামী ব্রান্ডের মোবাইল চুরি হয়।ওসি মহিদুল অক্লান্ত পরিশ্রম করে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় ৭ দিনের ভিতরে বাহিরের জেলা থেকে সেই মোবাইল চোর কে ৭০ পিস মোবাইল সহ আটক করতে সক্ষম হন।
ওসি মহিদুলের দুরদর্শিতায় শহরে অঞ্জানপাটি, মলম পাটি সহ চুরি -ডাকাতি র মত অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ঘটছেনা বল্লেই চলে।দুটো একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই শহরের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলা যায়।
সব চাইতে ভালো বিষয় ওসি মহিদুল সকলের ফোন রিসিভ করেন তাই যত রাতেই মানুষ বিপদে পড়ে ফোন দেক না কেনো, ওসি মহিদুল সকলের ফোন রিসিভ করেন এবং ধৈয্য ধরে সকলের অভিযোগ শোনেন।
সাতক্ষীরা থানার ওসি মহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদকের নিকট একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, পুলিশ সাধারণ জনগণের বন্ধু আর অপরাধীদের শত্রু। আমি ওসি হিসাবে যতদিন এই থানায় থাকবো ততদিন মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত থাকবে এবং সাধারণ জনগণের শান্তির লক্ষ্যে ও আইনি সেবা দেওয়াটাই আমার প্রধান কাজ। তিনি বলেন, নিরীহ সাধারণ মানুষ যেনো কোনো প্রকার হয়রানি শিকার না হতে হয় সে বিষয়ে সাতক্ষীরা থানার সকল অফিসারদের নিদের্শনা সব সময় দেওয়া হচ্ছে এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য অফিসারদের সকল প্রকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর সেই মোতাবেক সকল অফিসাররা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের চাকুরী এমন একটা পেশা যেখানে বসে সব শ্রেণীর মানুষ কে সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকে।তিনি বলেন,আমি যতদিন এই পেশায় চাকুরী করবো ততদিন আমি সমাজের অসহায়,নির্যাতিত ও নিরিহ মানুষদের উপকার করে যাবো।
আমি জনতার পুলিশ হয়ে আপনাদের সেবা করে যেতে চাই।আমি এখানে তো সারা জীবন চাকুরী করতে পারবোনা। আমি যখন সদর থানা থেকে বদলি হয়ে চলে যাবো অন্য কর্মস্থলে।অন্য কর্মস্থলে গিয়ে যখন শুনবো সাতক্ষীরার মানুষ ওসি মহিদুল কে ভালো বলে, প্রশংসা করে, ওসি মহিদুল কে মিস করে, তখন দুরে বসে আমি আত্মতৃপ্তি পাবো।আর সেটাই হবে আমার চাকুরী জীবনের সফলতা।
ওসি মহিদুল ইসলাম জেলার রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ জেলার সকল সাংবাদিকবৃন্দের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
প্রসংঙ্গ : সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিরা সাধারনত ৬ মাসের বেশি টিকতে পারেন না কিছু কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের কারনে। সেখানে সাতক্ষীরা থানার ওসি মো: মহিদুল ইসলাম প্রায় ১৩ মাস টিকে গেলেন সুনাম ও দক্ষতার সাথে।ওসি মহিদুল ইসলাম কোন রকম দূর্ণীতি কে প্রচ্ছায় দেন না বলেই একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।