দেশের তথ্য ডেস্কঃ
আজ ১০ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ, ২৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার দুপুর ০৩:১৫ ঘটিকায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৌলতপুর থানা প্রাঙ্গণে অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব সোনালী সেন, পিপিএম-সেবা দৌলতপুর থানার পুলিশের বিশেষ অভিযানে অস্ত্র মামলার ১৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত ০১ জন আসামী গ্রেফতার সংক্রান্তে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।
কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মিডিয়া বিফ্রিংয়ে বলেন, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। আমরা বিগত কয়েক মাস থেকেই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর জোনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী, স্বর্ণ চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি, অস্ত্র-গোলাবারুদ ব্যবসায়ী, চোরাই মোটরসাইকেল, জুয়াড়ি, বিকাশ এবং অনলাইন প্রতারণায় জড়িত প্রতারক, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত, হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী ও ভূমিদস্যুসহ সমাজে যারা প্রভাব বিস্তার করে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি।
এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ দৌলতপুর থানাধীন পাবলা নতুন রাস্তার মোড় এলকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আসাদুজ্জামান রিপনকে ০১ টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ০২ টি বন্দুকের কার্তুজ সহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানার মামলা নং-১২, তারিখ-১৫/০১/২০২০ খ্রিঃ; ধারা-১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের 19(A)/19(F) রুজু করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিচারিক কার্যক্রম শেষে অপরাধী সাবস্ত্য হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ১৭ বছর সাজা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, কেএমপি’র দৌলতপুর থানার একটি চৌকস টিম গত ০৯ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ রাতে গোপালগঞ্জ জেলাধীন কাশিয়ানী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র মামলার ১৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত মোঃ আসাদুজ্জামান রিপনকে গ্রেফতার করা হয়।। উক্ত আসামী দূধর্ষ বোমা প্রস্তুতকারক, অস্ত্র বহনকারি ও সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
উক্ত আসামী মোঃ আসাদুজ্জামান রিপনের পিসিপিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ১) দৌলতপুর থানার মামলা নং-১০, তারিখ-১৭/০৫/২০১৪; ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(1); ২) দৌলতপুর থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-১২/০৩/২০১৬, ধারা-১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এর ৩/৪/৬; ৩) দৌলতপুর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৬/০৩/২০১৬, ধারা-১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩(৩)/৪/৬ এবং ৪) দৌলতপুর থানার মামলা নং-২০, তাং-২০/০৬/২০১৮ খ্রিঃ, ধারা ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২) পেনাল কোডের মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।
গত ০৯ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ রাতে দৌলতপুর থানার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিতিত্তে অত্র থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দৌলতপুর থানার মামলা নং-১২(০১)২০১৫ খ্রি. জিআর-১৭৩/১৫, ধারা-১২০-বি/৩৪১/৩০২/৪২৭/৩৪ পেনাল কোডের হুজী শহিদ হত্যা মামলার দীর্ঘ ০৯ (নয়) বছর পলাতক থাকা আসামী মোঃ মঈন রিফুজি মঈনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ০৯ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ ভোরে লবণচরা থানাধীন মোহাম্মদ নগর জাহেদ জুনায়েদ এন্টারপ্রাইজের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হতে চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ০১) মোঃ আমির মৃধা(৪৬), পিতা-মোঃ সত্তার মৃধা, সাং-বুলবুনিয়া, থানা-পাথরঘাটা, জেলা-বরগুনা, এ/পি সাং-ইসলামিয়া কলেজ রোড, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল; ২) মোঃ পারভেজ(২৩), পিতা-মোঃ নুর ইসলাম, সাং-নয়াবাটি থানা-খালিশপুর এবং ৩) আব্দুল্লাহ আল মামুন(৪০), পিতা-মোঃ রইজ উদ্দীন, সাং-কয়েরা পূর্বপাড়া, থানা-ভূয়াপুর, জেলা-টাঙ্গাইল, এ/পি সাং-খুলনা হাউজিং, থানা-খালিশপুর, খুলনা মহানগরীদের’কে চুরি যাওয়া ০১ টি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক উদ্ধারপূর্বক গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে দৌলতপুর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৯/০৭/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞ আদালতে আসামীদের যথানিয়মে সোপর্দ করা হয় এবং উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর মধ্যে হতে মোঃ আমির মৃধা এবং মোঃ পারভেজ’দ্বয় ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।”
এ সময় মিডিয়া বিফ্রিংয়ে কেএমপি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জোন) জনাব মোঃ আবুল বাশার; দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব প্রবীর বিশ্বাস এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো; শহিদুল ইসলাম-সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।