দেশের তথ্য ডেস্কঃ
পুরুষদের আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য নারীদের দায়ী করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক রাজনীতিবিদ। এ মন্তব্য করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই রাজনীতিবিদ। সিউল সিটি কাউন্সিলর কিম কি-ডাক সিউলের হান নদীর ধারে আত্মহত্যা করার তথ্য বিশ্লেষণ করার পর তার মূল্যায়নে এই মন্তব্য করেছেন। বুধবার (১০ জুন) বিবিসির তাদের প্রতিবেদনে এই খবর জানায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রেও সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড রয়েছে সেখানে।
সিউল সিটি কাউন্সিলর কিম কি-ডাক যুক্তি দিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে কর্মক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরুষদের জন্য চাকরি পাওয়া এবং বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিম কি-ডাক বলেন, দেশ ধীরে ধীরে নারী-প্রধান সমাজে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে, বিষয়টিকে আংশিকভাবে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা যেতে পারে।ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাউন্সিলর কিম সিউলের হান নদীর ধারে সেতুতে আত্মহত্যার চেষ্টার সংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই মন্তব্য করেছেন।
সিটি কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, নদীর ধারে আত্মহত্যার চেষ্টার সংখ্যা ২০১৮ সালে ছিল ৪৩০ তা বেড়ে ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫-এ পৌঁছেছে। যারা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষদের অনুপাত ৬৭ শতাংশ থেকে ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
কিমের দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সিউলের ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের অধ্যাপক সং ইন হ্যান বিবিসিকে বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের দাবি করা বিপজ্জনক এবং এটা বুদ্ধিমানদের কাজ নয়।’
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, বিশ্বব্যাপী নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি আত্মহত্যা করেছেন। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে ৫০ বছরের কম বয়সী পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেশি।
অধ্যাপক সং বলেছেন, সিউলে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির পিছনের কারণগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে অধ্যয়ন করা দরকার। তিনি বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক যে কাউন্সিলর নারী-পুরুষদের মধ্যে দন্দ টেনে এনেছেন।