ছাত্রদল নেতা রাসেলকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি রিজভীর

image_102749_1720519601.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলকে অবিলম্বে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, গত ১ জুলাই তাকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বা আদালতে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিবার, তার বাবা, তার মা, তার আত্মীয়স্বজন ও দলের নেতাকর্মীর প্রত্যেকে গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। বাবা-মায়ের যে আকুতি তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে তুলে নিয়ে গেছে তা অনেকে দেখেছেন এবং সে গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছে।

এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও মর্মস্পর্শী উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, এই ধরনের তরুণদের নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হচ্ছে কারণ তারা মানুষের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান দেয়। তাদের স্লোগান স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিষ্ঠুর দমনপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আতিকুর রহমান রাসেলদের মতো তরুণদের নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হচ্ছে, নিখোঁজ করে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় অতিক্রম করছে। মানুষের অধিকারগুলো দখলদার সরকার একের পর এক হরণ করেছে। মানুষ অধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রে মানুষের যে অধিকারগুলো স্বীকৃত সে অধিকারগুলোকে মানুষ যাতে প্রয়োগ করতে না পারে তার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে সরকার ইচ্ছেপূরণ করতে পারে। এই বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ যেন কথা না বলতে পারে, কেউ যেন মিছিল না করতে পারে, এ দেশে কেউ যেন সমাবেশ না করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান কাটাছেঁড়া করার পরেও গণতন্ত্রের যে অধিকারগুলো আছে সেই অধিকারগুলো সরকারি যন্ত্র দিয়ে নানাভাবে দমন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে তত একের পর এক সরকারের কুকীর্তি বেরিয়ে আসছে। সরকার যাদের দিয়ে বিরোধী দমন করেছে তারা এ দেশের জনগণের সম্পদ-অর্থ লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং দেশের মধ্যেও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। নবাবদেরও এত সম্পদ ছিল না। লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, রাজকোষ শূন্য হয়ে গেছে। দেশটা তিন মাস যে চলবে সেই প্রয়োজনীয় অর্থ এখন ব্যাংকে নেই। যারা ঋণখেলাপি হয়েছেন এক লক্ষ্য বিরানব্বই হাজার কোটি টাকা তাদের নিয়ম করে সুদ মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। যারা লুটপাট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা সবাই ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ লোক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

Share this post

PinIt
scroll to top