প্রথম সেমিতে তিন বিভাগে হবে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই

image_102706_1720506572.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

পাঁচটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপ ভাগাভাগি করে নিয়েছে ফ্রান্স ও স্পেন। এ জন্য চলতি ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে জমজমাট এক লড়াই আশা করছে পুরো ফুটবল বিশ্ব।

এ ম্যাচে জয় পেলে রেকর্ড চতুর্থ শিরোপার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে স্প্যানিশরা। অন্যদিকে ফ্রান্সের সামনে সুযোগ আসবে জার্মানি ও স্পেনের সমান তিন শিরোপা রেকর্ডে ভাগ বসানোর।

প্রথম সেমিতে তিন বিভাগে হবে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই
ফরাসি বাস্তবতার বিরুদ্ধে স্প্যানিশ ম্যাজিকের লড়াই
১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপ জয়ের পর এ পর্যন্ত ১৩টি বিশ্বকাপ ও ইউরোর ফাইনাল হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটির ফাইনালে খেলা হয়নি দুই দলের। আর বাকি ফাইনাল গুলোতে দুদলের একটি প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলোই।

এ সময়ের স্পেন দুটি ইউরো ও এবার বিশ্বকাপ জিতেছে। অন্যদিকে ফ্রান্স দুইবার বিশ্বকাপ ও একটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা ঘরে তুলেছে। এই দুই দলের সেমির লড়াইয়ে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে–

ফ্রান্সের আক্রমণের সঙ্গে স্পেনের রক্ষণভাগের

২০২২ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেছিল ফ্রান্স। তবে এবারের ইউরোতে তাদের একমাত্র গোলটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। ইউরোর ইতিহাসে এটি বিরল রেকর্ডও।

আসরের প্রথম ম্যাচে আঘাত পেয়েছে নাক ভেঙেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। খেলতে পারছেন না স্বাভাবিক খেলা। এ ছাড়া ফ্রান্সের বাকি দুটি জয় এসেছে আত্মঘাতী গোল থেকে।

ফ্রান্স জিতলে সেটা হবে স্পেনের শক্তিহীন রক্ষণের কারণে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় খেলতে পারবেন না স্পেনের রক্ষণভাগের এবারের আসরের দুই নির্ভরযোগ্য কান্ডারি অভিজ্ঞ ডানি কারভাহাল ও রবিন লি নরমান্ড।

এ দুজন একসঙ্গে মাঠে থাকাকালীন এবারের আসরে মাত্র এক গোল হজম করেছে স্পেন। এ দুজনের অভাব বেশ ভালোভাবে বোধ করবে তারা।

বাস্তববাদী দেশমের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ফুয়েন্তের কৌশল

দুই কোচের রণকৌশল দেখতে প্রস্তুত ফুটবল প্রেমীরা। দর্শনের দিক থেকে দুই কোচের মত ভিন্ন হলেও লক্ষ্য কিন্তু একই, বার্লিনের ফাইনাল।

বিশ্বের তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফুটবলার ও ম্যানেজার হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশমের। এছাড়া তার অধীনে শেষ চারটি মেজর টুর্নামেন্টের তিনটিতেই ফাইনালে খেলেছে ফরাসিরা।

তবে এবারের আসরে স্ট্রাইকাররা গোল না পাওয়ায় কিছুটা চাপে আছেন তিনি। তার বাস্তবসম্মত চিন্তা সম্পর্কে অবগত দলের ফুটবলাররা। পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র তিন গোল করলেও (দুটি আত্মঘাতী) এবারের আসরে ফ্রান্স কখনো আগে পিছিয়ে পড়েনি।

অন্যদিকে দলকে স্বাধীনভাবে খেলতে উৎসাহিত করেন স্প্যানিশ কোচ লুইস ডি লা ফুয়েন্তে। এমনকি ফুটবলাররা ভুল করলেও সেটা আমলে নেন না তিনি। চলতি আসরে এ পর্যন্ত স্পেনের হয়ে ভিন্ন ভিন্ন ৮ ফুটবলার গোল করেছেন। আর তাতেই ইতিবাচক দিক ফুটে ওঠে ফুয়েন্তের।

কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির টনি ক্রুসের মারাত্মক ট্যাকেলে ইউরো থেকে ছিটকে যান তরুণ মিডফিল্ডার পেদ্রি। কাজেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এখন রদ্রি।

ম্যানচেস্টার সিটির এ তারকা মাঝমাঠে দখলে নিয়ে বল যোগান দিতে পটু। এ কারণে ইউরোতে তরুণ দুই উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামস নিজেদের প্রমাণ করে চলেছেন। এ ছাড়া গোল করার দারুণ ক্ষমতাও রয়েছে তার।

এ দিকে প্রায় এক দশক ধরে কান্তের সাহসিকতা ও দৃঢ়তা দলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। মাঝ মাঠে কান্তের দৃঢ়তায় ফিকে হয়ে যায় আক্রমনভাগও। মাঝে ইনজুরি কারণে দুবছর ছিলেন না আন্তর্জাতিক ফুটবলে। খেলতে পারেননি কাতার বিশ্বকাপ।

তবে ফিরে এসে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। প্রতি ম্যাচেই নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন আগের সেই উচ্চতায়। এবারের আসরে ফরাসিদের প্রথম দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার।

কাজেই স্পেনের বিপক্ষে তার উপরই বেশি আস্থা থাকবে কোচের।

Share this post

PinIt
scroll to top