দেশের তথ্য ডেস্কঃ
সাধারণত দাঁতের গায়ে লেগে থাকা প্ল্যাক ব্যাকটেরিয়ার কারণে শিশুদের দন্তক্ষয় রোগের প্রবণতা দেখা দেয়। শিশুদের মুখে যখন প্রথম দাঁত ওঠে, অর্থাৎ ছয় মাস বয়সেই দন্তক্ষয় রোগ হয়। ৪২ শতাংশ শিশুর দুধদাঁতে দন্তক্ষয় রোগ হয়ে থাকে। দাঁতের যথাযথ যত্নের অভাবে সাধারণত দন্তক্ষয় রোগ হয়ে থাকে।
কারণঃ
শিশুরা সাধারণত দুধ ও জুস বেশি পান করে থাকে। আর এসবে সাধারণত সুগার বা চিনি থাকে। এটিই দন্তক্ষয় রোগের কারণ। এই খাবারগুলো বেশি সময় ধরে মুখে থাকলে মুখের ব্যাকটেরিয়া এই খাবারগুলো থেকে এসিড তৈরি করে, যা সাধারণত দন্তক্ষয় রোগের কারণ।
স্ট্রেপ্টোকক্কাস মিউটেন ও ল্যাকটোব্যাসিলাস এই দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া সাধারণত ডেন্টাল ক্যারিজ করে থাকে।
প্রতিরোধ
* সঠিক উপায়ে দাঁতের যত্ন নিতে হবে
* দাঁত ওঠার সময় ফ্লুরাইড থেরাপি দিতে হবে
* মা ও বাচ্চাদের কম চিনির উচ্চ পুষ্টিকরজাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে যে সময় বাচ্চারা ব্রেস্ট ফিডিং করে
* স্ন্যাকসজাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে
* পরিমিত পরিমাণ স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে
চিকিৎসা
* যেসব শিশুর দন্তক্ষয় রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে, তাদের দ্রুত দন্ত সংরক্ষণ চিকিৎসা করে নেওয়া উচিত
* যেসব শিশুর দন্তক্ষয় রোগে আশঙ্কা কম, তাদের দন্ত সংরক্ষণ চিকিৎসা করার প্রয়োজন নেই, শুধু নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ করাতে হবে
* টপিক্যাল ফ্লুরাইড থেরাপি প্রয়োজনে দিতে হবে
* দাঁতে গর্ত বেশি হলে প্রয়োজনমতো স্টেইনলেস স্টিলের ক্যাপ লাগাতে হতে পারে
* দন্তক্ষয় ছোট হলে এআরটি চিকিৎসাপদ্ধতি (দাঁতে গর্ত না করে চিকিৎসাপদ্ধতি) ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আঠালো দন্ত সংরক্ষণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
যেখানে বিদ্যুৎ বা অন্যান্য উপকরণ নেই, সেখানে এই পদ্ধতিতে দন্ত সংরক্ষণ করা হয়
পরামর্শ দিয়েছেন