দেশ বাঁচাও, গণ মঞ্চের ডাকে, ধর্মতলা ডোরিনা ক্রসিং এ বিক্ষোভ অবস্থান।

20240709_001256-scaled.jpg

কলকাতা প্রতিনিধিঃ শম্পা দাস ও সমরেশ রায়

আজ ৮ ই জুলাই সোমবার, ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং এ, দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত, দেশ বাঁচাও, গন মঞ্চের ডাকে। মানবাধিকার লঙ্ঘন বিরোধী, মানবকতার পথে, বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান করেন।

 

রাজ্যপালের অসাববিধানিক ভূমিকা, রেল বিসরকারিকরণ ও রেল হকার উচ্ছেদ এবং নেট সহ প্রশ্নপত্র দুর্নীতি প্রতিবাদে এই অবস্থান-বিক্ষোভ। তার সাথে সাথে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি ও গ্রেপ্তারের দাবী।

 

আজকের এই বিক্ষোভ অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ দোলা সেন, শিল্পী সৈকত মিত্র, শিল্পী নাজিমুল হক, গোপাল সাহা, দীপঙ্কর দে ,কমরেড সমীর প্রতুন্ডডু, সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য, অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী, ইন্দ্রজিৎ চ্যাটার্জী, বর্ণালী মুখার্জী, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত দাস, প্রতীম চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।

 

বিক্ষোভ সভা থেকে, একে একে রাজ্যপালের পদত্যাগের দাবি করেন এবং ন্যায্য বিচারের দাবি করেন, এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের আপোসহীন আইনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন। জানান যারা ছেলেমেয়েদের নিয়ে খেলা করছে, তাদের প্রশ্নপত্র লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে, অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে ও শাস্তি দিতে হবে। এই মঞ্চ থেকে তাহারা ২০ টি দাবি তুলে ধরেন।

 

দাবিগুলি হল…,১, ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স এর মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।

২, তদন্তের অজুহাতে বিভিন্ন বিরোধী দলের যে নেতাদের সিবিআই হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘদিন আটক করে রাখা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে , গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে যারা দমনমূলক আইনে গ্রেফতার হয়েছেন, তাদেরও অবিলম্বে মুক্তি চাই।

 

৩, বিচারব্যবস্থাকে নিরপেক্ষ এবং পক্ষপাতহীন করতে হবে, কোন বিচার প্রতি রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেলে ,তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে।

৪, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের একছত্র অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রাখা চলবে না। নিরপেক্ষভাবে এই নিয়োগ করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে দিতে হবে।।

৫, রাজ্যপালদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক দলকে মদত দেয়া বন্ধ করা হোক ,যদি কোন রাজ্যপাল এরকম কোন আচরণ করে থাকেন ,তাহলে অবিলম্বে তাকে রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।

৬, এন আর সি, সি এ এ, পি এম এল এর মত জনবিরোধী কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৭, রাজ্য সরকারের কাজে রাজ্যের অনুমতি ছাড়া অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, মনে রাখতে হবে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এখনো বোঝায় আছে।

৮, রাজ্যের বকেয়া অর্থ আটকে রাখা চলবে না।

৯, ভূয়ো-নির্বাচনী সমীক্ষা করিয়ে, শেয়ার বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করে কারা চলে গেল, তার তদন্ত চাই।

১০, মহিলাদের বিরুদ্ধে কোনরকম অশালীন মন্তব্য বা অশালীন আচরণ যদি কোন জন প্রতিনিধি করেন তাহলে তার জনপ্রতিনিধি পদ বাতিল করার আইন প্রণয়ন করতে হবে।

১১, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দলিত এবং জনজাতিদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে ,এই ধরনের অত্যাচারের অভিযোগ পেলে ,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।

 

এইভাবে কুড়িটি দাবী কেন্দ্রীয় সরকারকে তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যদি আইন গুলি মেনে না নেন, তানাহলে তারা এই অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন। দেশ বাঁচাও গণতন্ত্র মঞ্চ থেমে থাকবে না।

Share this post

PinIt
scroll to top