দেশের তথ্য ডেস্কঃ
টাঙ্গাইলে যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এতে করে জেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল থেকে রোববার (৭ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
ঝিনাই নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বিপৎসীমার ওপরে যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি
রাক্ষুসে পদ্মা গিলে খেতে বসেছে শতশত বসতবাড়ি-দোকানপাট
এদিকে সড়ক ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, হাট বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানির তীব্র স্রোতে ভূঞাপুর উপজেলার কয়েড়া এলাকায় সড়ক ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি ওঠায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরীর নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এরপর থেকে পানি কমা শুরু হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, জেলার ৫টি উপজেলাতে ৮ হাজার পরিবারের মধ্য ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এতে করে জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, শুকনো খাবার ও ভূঞাপুর উপজেলাতে যাতায়াতের জন্য ১০টি নৌকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।