ডাক্তারদের সেবার মনোভাব নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবেঃ ভূমি মন্ত্রী

cfyh-2.jpg

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

ভূমি মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সেবাপ্রাপ্তি প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে ডাক্তারদের সেবার মনোভাব নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। কোন রোগী যেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অযথা হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রোগী যেন ডাক্তারের অবহেলায় কষ্ট না পায় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।

তিনি শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে খুলনা ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

ভূমি মন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি পরিহার করে মানুষের কল্যাণে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। চিকিৎসা পেশা হলো মহৎ পেশা। বর্তমান সরকারের গণমূখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন, স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান, অবকাঠামোর উন্নয়ন, চিকিৎসক-নার্স নিয়োগসহ নানামূখী পদক্ষেপের ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সরকার জনকল্যাণে শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারণ, স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন করেছে। যার সুফল জনগণ ভোগ করছে। সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও দুস্থ মানুষ বিশেষ করে মা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। মন্ত্রী ফুলতলা উপজেলা হাসপাতালের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

সভায় ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াৎ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ফেরদৌস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডাঃ জেসমিন আরা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, কমিটির সদস্য এস মৃনাল হাজরা, এস এম মোস্তাফিজুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী নতুন যোগদানকৃত চিকিৎসকদের ফুল দিয়ে বরণ করেন।

এর আগে ভূমি মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং রোগীদের খোঁজ খবর নেন।

শেখ রাসেল ইকো পার্কে প্রশান্তি চত্বর ও বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

এরপর দুপুরে তিনি বটিয়াঘাটা উপজেলার শেখ রাসেল ইকো পার্কে প্রশান্তি চত্বর ও বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

ভূমি মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, শেখ রাসেল ইকো পার্ক বিনোদন ও পরিবেশের জন্য খুবই উপযোগী। এই পার্কে উন্মুক্ত জলাশয় ও প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের গাছপালা রয়েছে, যা পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের জীববৈচিত্র্য ধরে রাখতে হবে। খুলনায় বড় ধরণের বিনোদন পার্ক নেই। সেদিক থেকে খুলনা প্রশাসন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সময়ও যুগোপযোগি। এই পার্কের কাজ শেষ হলে খুলনা জেলার অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে। ৪৩ একর জমির ওপর নির্মিত এই পার্ক পরিকল্পনা মাফিক করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এপার্ক মানুষের ব্যস্ত জীবনে সুষ্ঠু বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই পার্ক থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হচ্ছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

PinIt
scroll to top