দেশের তথ্য ডেস্কঃ
বছর বছর ভাঙনের কবলে পড়ে এখন শেষ সম্বলটুকু হারানোর আশঙ্কা করছেন চাঁদপুরের হাইমচরের চর ভৈরবীর জালিয়ার চরবাসী। এখানকার প্রায় দেড়শ’ মিটার নদী তীরবর্তী এলাকা যেকোনো সময় বিলীনের আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে জালিয়ার চর গেলে ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়দের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুরের হাইমচরের শেষ সীমানা হচ্ছে জালিয়ারচর। যার পরেই লক্ষ্মীপুর জেলার সীমানা শুরু। আর এতেই দু’জেলার সীমানা একত্রিত থাকায় স্থানটির বাঁধ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে বর্ষা আসলেই মেঘনা নদীর পানির স্রোতের তীব্র ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় থাকেন এলাকাবাসী। তাই দ্রুত স্থায়ী বাঁধসহ জালিয়ার চরকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মহলের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ দেখতে চান ভুক্তভোগী আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ জুবায়ের শিমুল বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভাঙনকবলিত স্থান রক্ষায় ওপর মহলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। দ্রুত এর সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, জালিয়ার চরের অরক্ষিত মেঘনা নদীভাঙার এলাকাটি পরিদর্শন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সার্ভে করা হয়েছে। দ্রুত স্থায়ী প্রকল্পে এটির কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে চাঁদপুরের হাইমচরে এখন পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার মেঘনা তীরবর্তী এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। দ্রুত যেন জালিয়ার চরের এই অবহেলিত অংশটুকুও স্থায়ী বাঁধের আওতায় আসে এই প্রত্যাশায় রয়েছেন ভুক্তভোগী জালিয়ার চরবাসী।