ভারত সরকার রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে। এর আগে যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। এখন তা কমিয়ে ২ থেকে ৩ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আর সেই প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে।
বন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন তারা। ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতি কেজি পেঁয়াজে অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজির নিচে নেমে আসবে।শুক্রবার (৫ জুলাই) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন দিন আগে দেশীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, বন্দর থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর দেশীয় পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে কিনে বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজি দরে। দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, মোকামগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক এটিএম রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২৫ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। এ কারণে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। তবে স্বল্প পরিসরে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন।
আরেক ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, আগে পেঁয়াজ আমদানি করে কেজি প্রতি দাম পড়তো ৪০ টাকা।
কিন্তু ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছেন ৬৫ টাকা। এর সঙ্গে ট্রাক ভাড়া, বাংলাদেশের কাস্টমসের শুল্কসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৭২ টাকা খরচ পড়ছে। ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার নিচে নেমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ভারতীয় সাতটি ট্রাক ২০২ মেট্রিক টন বা ৪০০ কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।