দেশের তথ্য ডেস্কঃ
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত তীব্র তারল্য সংকট বিরাজ করছে। এতে বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের কার্যক্রম চালাতে কল মানি মার্কেট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো বেশি সুদের অফার করেও আমানত পাচ্ছে না। কারণ এখনো সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক কাজ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশের ঋণখেলাপি, করখেলাপি ও অর্থপাচার একই সূত্রে গাঁথা। ঋণ পুনঃ তফসিল করার কারণে ব্যাংকে অর্থের টান পড়েছে। এর জন্য বন্ডের মাধ্যমে টাকা ছাপিয়ে অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি কমছে না। তাই শক্ত হাতে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে মার্চে দেশে ব্যাংক খাতের বাইরে বা মানুষের হাতে নগদ অর্থ ছিল দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। ঠিক এক বছর পর চলতি বছরের মার্চের শেষে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে নগদ অর্থ বাড়ল ছয় হাজার ৫২৭ কোটি টাকা।