এক ফোনে প্রাণ বাঁচল ১০ নাবিকের

1720009307-83f9da87d83e664d9a2fbd4b8ea39956.jpg

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

পায়রা বন্দর থেকে ৯০০ মেট্রিক টন জিপসাম নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল এমভি খশিয়াখালী-১ নামের একটি জাহাজ। মেঘনা নদীর কালীগঞ্জ পয়েন্টে এসে অজ্ঞাত কিছুর সাথে ধাক্কা লেগে জাহাজটি পানিতে নিমজ্জিত হতে থাকে। জাহাজে থাকা ১০ নাবিকের প্রাণ বাঁচাতে মাস্টার তাৎক্ষণিক ফোন করেন জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯-এ। খবর পাওয়ার সাথে সাথে জেলেদের ট্রলার নিয়ে ১০ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেন কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

বর্তমানে ওই ১০ নাবিক মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করছেন। তবে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।এমভি খশিয়াখালী-১-এর ইনচার্জ মাস্টার মো. নোমান হাওলাদার বলেন, গত ২৮ জুন পায়রাবন্দর থেকে জাহাজটিতে ৯০০ টন জিপসাম লোড করা হয়। এরপর সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে জাহাজটি ছেড়ে আসে।

মঙ্গলবার জাহাজটি মেহেন্দিগঞ্জের কালীগঞ্জে অবস্থান নেয়। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত কিছুর সাথে ধাক্কা লাগার কারণে জাহাজের  ড্রাফট বাড়তে থাকে। ওই জাহাজ ও জাহাজে থাকা মালামাল রক্ষায় নিকটবর্তী চরের দিকে অগ্রসর হই। কিন্তু জাহাজটি হঠাৎ পানিতে নিমজ্জিত হতে শুরু করে।
জাহাজ পানির নিচে চলে যাওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ৯৯৯-এ কল দিলে কালীগঞ্জ নৌপুলিশ ফাঁড়ির নৌটহল দল আমাদের উদ্ধার করে লঞ্চঘাট নিয়ে আসে।কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের সময় ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পান যে, উলানিয়া লঞ্চঘাট এলাকার কাছাকাছি জাহাজটি পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন জাহাজটি তলিয়ে যাচ্ছে। তখন মাছ ধরার ট্রলারের মাধ্যমে ১০ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেন। বিলম্ব হলে ওই নাবিকদের জীবিত উদ্ধার করা হয়তো সম্ভব হতো না।

Share this post

PinIt
scroll to top