উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম, জালচিড়া ও হলহলি নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে বর্ডার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটের চকবাজার তলিয়ে পানির স্রোত বইছে। সেই সঙ্গে আকস্মিক বন্যায় বালিয়ামারী-কালাইয়ের চর বর্ডার হাট পানিতে ডুবে গেছে।
জিঞ্জিরাম নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নদীর তীরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত বর্ডার হাট পানিতে থইথই করছে। এতে দুই দেশের এই হাটটি বন্ধ রয়েছে।বর্ডার হাট বন্ধ থাকার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা, মালামাল নেওয়া, লেবার, মাঝি ও গাড়িচালকেরা অলস সময় পার করছেন। ভারতের আসাম রাজ্যে ভারী বর্ষণ হওয়ায় জিঞ্জিরাম নদীর অববাহিকায় সীমান্তবর্তী নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে।
বর্ডার হাট ও এর আশপাশে জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাটে এসে দেখি পানি আগে চেয়ে আরো বেড়েছে। হাট তলিয়ে গেছে। পাহাড়ে বৃষ্টি হলে হাটসহ এই এলাকা তলিয়ে যায়।
কর্তৃপক্ষের কাছে হাট উঁচু করার দাবি জানাই।বর্ডার হাটের বিক্রেতা আজিজল হোসেন জানান, দুইদিন আগেও পানি কম ছিল, আজ মালামাল নিয়ে এসে দেখেন হাটে পানি উঠেছে। মালামাল গুলো ফিরিয়ে নিতে হবে। শুধু শুধু লেবার খরচ হলো বলে অনুশাচনা করেন তিনি।
বর্ডার হাট ক্রেতা কমিটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ঈদের পর থেকে আমরা ভালোভাবে হাট করতে পারি না।
আমাদের ক্রেতারা হাট করতে না পারলে কি খাবে? কয়েকদিন হাট বন্ধ ছিল। অনেকের বাড়িতে পানি ওঠায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে আকুল আবেদন, হাটটি যেন মাটি ফেলে উঁচু করে দেন।জানতে চাইলে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, বর্ডার হাটে পানি ওঠার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। নির্দেশনা পেলে দুই দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা করে প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।