দেশের তথ্য ডেস্কঃ
একজন জিভ সামলাতে জানলেও আরেকজন তা পারতেনই না। সুযোগ পেলেই প্রিয় বিরিয়ানিতে কবজি ডুবিয়ে দিতে অভ্যস্ত রোহিত শর্মার জন্যই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশেষ এক নিয়ম চালু করেছিল বলে প্রচার আছে। সদ্য বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে ফিটনেস সচেতন রাখতেই নাকি প্রতি মাসে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে গিয়ে ইয়ো ইয়ো টেস্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
অথচ বিরাট কোহলি ঠিক উল্টো মেরুর বাসিন্দা।
বারবার তীর ছুঁতে ছুঁতেও তা না পারার হতাশায় বিলীন হতে হয়েছে তাঁদের। এই সুযোগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে একটু ফিরে যাওয়া যাক। সেবার কোহলির নেতৃত্বে সেমিফাইনাল খেলা ভারত দেখেছিল রোহিতকে রানবন্যা বইয়ে দিতে। পাঁচ-পাঁচটি সেঞ্চুরিতে আসরের সর্বোচ্চ ৬৪৮ রান করা ওপেনার চার বছর পরে আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজে যখন অধিনায়ক, তখন ফিরিয়ে দিতে কার্পণ্য করেননি কোহলি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক আসরে সাত শতাধিক রানের মাইলফলক পার করে ভারতকে শিরোপার নাগালও পাইয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। ৭৬৫ রান করা কোহলির পাশে উজ্জ্বল অধিনায়ক রোহিত শেষ করেছিলেন ৫৯৭ রান নিয়ে। গত নভেম্বরের আহমেদাবাদ অবশ্য তাঁদের অনন্য অর্জনের চূড়ায় পৌঁছাতে না পারার বিষাদ রাগিণীই বাজিয়েছিল।
কিংবা একই অধিনায়কের অধীনে ২০১১-এর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়েও ছিল কোহলির অবদান। কিন্তু পরের বছরগুলোতে চারা থেকে মহীরূহ হয়ে ওঠা এই দুই ক্রিকেটারেরও একজোট হয়ে আরো কিছু দেওয়ার ছিল। দুইয়ে মিলে তাঁদের এক হওয়াটা অবশ্য কিছুতেই হয়ে উঠছিল না। এবার হওয়াতে দায় শোধ করেও এই সংস্করণকে বিদায় জানাতে পারলেন!